images

সারাদেশ

মুন্সিগঞ্জে জেঁকে বসেছে শীত

জেলা প্রতিনিধি

৩০ ডিসেম্বর ২০২৫, ১০:৩৬ এএম

উত্তরের হিমেল হাওয়ার কারণে তীব্র ঘন কুয়াশায় পুরোপুরি জেঁকে বসেছে পৌষের কনকনে শীত। প্রায় জবুথবু অবস্থা শিশু থেকে শুরু করে নানা বয়সী মানুষের।

পদ্মা, মেঘনা, ধলেশ্বরী ও ইছামতিসহ আরও বেশ কয়েকটি নদীর তীর ঘেঁষে গড়ে ওঠা জেলা মুন্সিগঞ্জে সারাদেশের মতোই চলছে তীব্র শীতের প্রকোপ।

মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৭৬ শতাংশ। সেইসঙ্গে ঘন কুয়াশার চাদরে ঢাকা পড়েছে এ জনপদ। ঘন কুয়াশা আর হিম বাতাস থাকায় খুব একটা প্রয়োজন ছাড়া তেমন কেউ বাড়ি থেকে বের হচ্ছেন না । গত কয়েকদিনে এই জেলায় ১২ থেকে ২৩ ডিগ্রির ঘরে তাপমাত্রা ওঠানামা করছে বলে জানা গেছে আবহাওয়া অধিদপ্তরের সংশ্লিষ্ট সূত্রে।

সরেজমিনে মঙ্গলবার সকালে বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে দেখা যায়, চারিদিকে কুয়াশা আচ্ছন্ন সকালে আগুন জ্বেলে উষ্ণতার খোঁজে দু’হাতে গরম তাপ নিচ্ছে ছোট শিশুরা। 

চারিদিকে কনকনে ঠান্ডা বাতাস ও ঘন কুয়াশায় কিছুই দেখা যাচ্ছে না, বিশেষ করে প্রত্যন্ত গ্রাম এলাকাতে শীতের প্রকোপ দেখা গেছে সবচেয়ে বেশি। সদর উপজেলার পঞ্চসার ইউনিয়নের বিনোদনপুর সূত্রধর পাড়া এলাকায় আগুন জ্বালিয়ে উষ্ণ উত্তাপ নেওয়া ছোট শিশু-কিশোরদের সঙ্গে কথা হলে তারা জানায়, তীব্র শীতে জবুথবু অবস্থা তৈরি হয়েছে শিশুদের জন্য। 

কাঁপা কাঁপা কণ্ঠে বেশ কয়েকজন শিশু জানায়, ডিসেম্বরের শেষ দিকে স্কুলের বার্ষিক পরীক্ষা শেষ হয়ে যাওয়ায় অনেকটাই উচ্ছ্বাসিত তারা। 

সরেজমিন আরো দেখা গেছে, শৈশবের দুরন্তপনা ও শীতকে ঘিরে বিভিন্ন খুনসুটি চলছে শিশুদের মাঝে। 

তবে তীব্র শীতে জেলাজুড়ে শিশু-কিশোরদের সর্দি, কাশি, জ্বর, ঠান্ডাসহ শীতকালীন রোগের প্রকট বৃদ্ধি পাওয়ায় পর্যাপ্ত গরম কাপড় পরিধান-সহ সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা। 

মুন্সিগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ডাক্তার সাইদুর রহমান হিমেল বলেন, শীত মৌসুমের ঠান্ডা বৃদ্ধি পাওয়ায় বেড়েছে রোগের প্রকোপ। অভিভাবকদের সচেতনতা বৃদ্ধি করা না গেলে তীব্র ঠান্ডা ও নিউমোনিয়ার মতো রোগে আক্রান্ত হতে পারে শিশুরা। ফলে অনেক বেশি সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।

মুন্সিগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মাসুদুর রহমান বলেন, সরকারি সহযোগিতায় শীত মৌসুমে পর্যাপ্ত গরম কাপড় ও কম্বলের ব্যবস্থা করা হচ্ছে নিম্নআয়ের হতদরিদ্র মানুষের জন্য। 

তিনি বলেন, সবশেষ গতকাল বিকেলে সদর উপজেলার চরকেওয়ার, মোল্লাকান্দি, আধারা এবং শিলই ইউনিয়নে অসহায় ও দুঃস্থদের মাঝে ৪০০ টি শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়। এ সময় সহকারী কমিশনার (ভূমি) মারজানা আক্তার ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। 

প্রতিনিধি/ এমইউ