শরীয়তপুরের তিনটি আসনে ২৪ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র দাখিল

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে শরীয়তপুর জেলার তিনটি সংসদীয় আসনে মনোনয়নপত্র দাখিলের মধ্য দিয়ে নির্বাচনি মাঠে জমে উঠতে শুরু হয়েছে।

সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) শেষ দিনে শরীয়তপুর–১, শরীয়তপুর–২ ও শরীয়তপুর–৩ আসনে মোট ২৪ জন প্রার্থী তাদের মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।

শরীয়তপুর–১ (পালং–জাজিরা) আসন:

এ আসনে সর্বমোট ৯ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন।

তারা হলেন— বিএনপি মনোনীত প্রার্থী ও জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সাঈদ আহমেদ আসলাম, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থী মো. মোশারফ হোসেন, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিশের প্রার্থী জালালুদ্দীন আহমদ, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী মো. তোফায়েল আহমেদ, গণ অধিকার পরিষদের প্রার্থী ফিরোজ আহমেদ, নাগরিক ঐক্যের প্রার্থী নুরুল ইসলাম, এনসিপির প্রার্থী আব্দুর রহমান, বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির প্রার্থী নূর মোহাম্মদ মিয়া এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী সৈয়দ নজরুল ইসলাম।

শরীয়তপুর–২ (নড়িয়া–সখিপুর) আসন:

এ আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন সর্বাধিক ১১ জন প্রার্থী।

তারা হলেন— বিএনপি মনোনীত প্রার্থী ও জেলা বিএনপির সভাপতি সফিকুর রহমান কিরণ, জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থী অধ্যাপক ডা. মাহমুদ হোসেন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী ইমরান হোসেন, খেলাফত আন্দোলনের প্রার্থী মাহমুদুল হাছান, গণ অধিকার পরিষদের প্রার্থী আখতারুজ্জামান সম্রাট, জাতীয় পার্টির প্রার্থী জসিম উদ্দিন, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিশের প্রার্থী দবির হোসেন শেখ, জনতার দলের প্রার্থী পারভেজ মোশারফ এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী ফারহানা কাদির রহমান, আলমগীর হোসেন ও নাসির বন্দুকছি।

শরীয়তপুর–৩ (ডামুড্ড্যা–গোসাইরহাট) আসন:

এ আসনে মোট ৪ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।

তারা হলেন— বিএনপি মনোনীত প্রার্থী ও দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সাবেক একান্ত সচিব মিয়া নুরুদ্দিন আহাম্মেদ অপু, জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থী মোহাম্মদ আজাহারুল ইসলাম, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী হানিফ মিয়া এবং জাতীয় পার্টির প্রার্থী আব্দুল হান্নান।

মনোনয়নপত্র দাখিল শেষে প্রার্থীদের মধ্যে উৎসাহ-উদ্দীপনা লক্ষ্য করা গেছে। নির্বাচন কমিশনের নির্ধারিত সময়সূচি অনুযায়ী যাচাই-বাছাই শেষে চূড়ান্ত প্রার্থীদের তালিকা প্রকাশ করা হবে। এদিকে, একাধিক রাজনৈতিক দল ও স্বতন্ত্র প্রার্থীর অংশগ্রহণে শরীয়তপুরের তিনটি আসনেই এবার প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচন হওয়ার সম্ভাবনা দেখছেন স্থানীয় ভোটাররা।

প্রতিনিধি/ এজে