জেলা প্রতিনিধি
২৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৪:০৭ পিএম
ফরিদপুরের নগরকান্দা-ভাঙ্গা সড়কের সুলনা নদীর ওপরে সুতারকান্দা নামক স্থানে ব্রিজের সংযোগ সড়কে মধ্যে বৈদ্যুতিক খুঁটি রেখেই পিচ ঢালাই ও কার্পেটিংয়ের কাজ সম্পন্ন হয়েছে। সংযোগ সড়কের মাঝে বৈদ্যুতিক খুঁটি এবং সামনে একটি বাক থাকায়, বাকের সামনে পেছনে দেখা না যাওয়ায় প্রায়ই ঘটছে ছোট বড় দুর্ঘটনা। খুঁটিটি দ্রুত না সরালে যেকোনো সময় প্রাণঘাতী দুর্ঘটনার শঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।
তবে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের দাবি, এ কাজটি তার নয়, এটা সড়ক ও জনপদ বিভাগ ও পল্লী বিদ্যুতের কাজ। তাই তাদের অনুমতি না পাওয়ায় সড়কের মাঝখানে বৈদ্যুতিক খুঁটি রেখেই কাজ করেছে। তাছাড়া তাদের কাজের মেয়াদও শেষ হওয়ায় সড়কের মাঝে খুঁটি রেখেই কার্পেটিং করতে বাধ্য হয়েছে বলে জানায়।
স্থানীয় মাঝিকান্দা গ্রামের অটোচালক শাহাবুদ্দিন বলেন, আমি প্রতিদিন জীবিকার তাগিদে এ সেতুর ওপর দিয়ে অটো চালিয়ে নগরকান্দা ভাঙ্গা সড়কে চলাচল করি। সুতারকান্দা সড়টি অনেক উঁচু-এর ঢালে উঠতে এবং নামতে অটো নিয়ে অনেক কষ্ট হয়। তাছাড়া সড়কে বৈদ্যুতিক খুঁটি থাকায় দুর্ঘটনার আশঙ্কায়ও থাকি।
সড়ক ও জনপথ(সওজ) উপ-সহকারী প্রকৌশলী এস এম রফিকুল ইসলাম বলেন, বৈদ্যুতিক খুঁটি সরানোর জন্য ফরিদপুর পল্লী বিদ্যুৎ নগরকান্দা জোনাল অফিসে যোগাযোগ করা হয়েছে, এ কাজে তাদের জন্য একটি বাজেটের প্রয়োজন, আমরা আমাদের অফিস বাজেটের বিষয়ে আবেদন করেছি, অল্প সময়ের মধ্যেই বিদ্যুতের খুঁটি সড়কের মাঝে থেকে সরানো সম্ভব হবে বলে আশা করছি।
সুতারকান্দা সেতুর সংযোগ সড়কের বৈদ্যুতিক খুঁটি সরানোর ব্যাপারে নগরকান্দা পল্লী বিদ্যুতের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার মোহাম্মদ সোহেল রানা চৌধুরী জানান, আমরা বৈদ্যুতিক খুঁটি সারানোর জন্য প্রয়োজনীয় লোকবল নিয়ে গিয়েছিলাম কিন্তু স্থানীয় লোকদের বাধার মুখে কাজটি করতে পারিনি। এজন্য আমরা স্থানীয় উপজেলা প্রশাসনের সহযোগিতা চেয়েছি। তাদের সহযোগিতা পেলে দ্রুত সময়ের মধ্যে সারা পৃথিবীতে প্রতিটি সরানো সম্ভব হবে।
এ বিষয়ে নগরকান্দা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মেহরাজ শারবীন ঢাকা মেইলকে বলেন, সড়কের মধ্যে বিদ্যুতের খুঁটির বিষয়টি আমাদের নজরে এসেছে, এ বিষয়ে পল্লী বিদ্যুতের সঙ্গে কথা বলেছি, পল্লী বিদ্যুতের এজিএম খুঁটি সারানোর জন্য স্থানটি পরিদর্শন করেছেন। উপযুক্ত জায়গা না পাওয়ায় তাৎক্ষণিকভাবে খুঁটিটি সরানো সম্ভব হয়নি। অল্প সময়ের মধ্যে সড়ক থেকে খুঁটিটি সরিয়ে অন্যত্র নেওয়ার জন্য আমরা কাজ করছি। আশা করছি অল্প সময়ের মধ্যে এ সমস্যা সমাধান হবে।
প্রায় ১৪ কোটি টাকা ব্যয় নির্মিত সেতুটির কাজ করছে মেসার্স সাইদুর রহমান অ্যান্ড ডন এন্টারপ্রাইজ-সাইদুর রহমান (জেবি)।
প্রতিনিধি/এসএস