images

সারাদেশ

এনসিপি-জামায়াত সমঝোতা হলে শক্ত অবস্থানে থাকবেন আখতার হোসেন

২৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ০২:৪৬ পিএম

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে আসন সমঝোতার চূড়ান্ত আলোচনা চলছে ন্যাশনাল সিটিজেনস পার্টি (এনসিপি) ও জামায়াতে ইসলামীর মধ্যে। যেকোনো সময় এই সমঝোতার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসতে পারে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, এই সমঝোতা হলে রংপুর-৪ (কাউনিয়া-পীরগাছা) আসনে এনসিপির মনোনীত প্রার্থী এবং দলটির কেন্দ্রীয় সদস্য সচিব আখতার হোসেনের ভোটের পাল্লা বেশ ভারী হবে। জানা গেছে, জামায়াত ও এনসিপির মধ্যকার সম্ভাব্য আসন বণ্টনের তালিকায় এই আসনটি এনসিপিকে ছেড়ে দেওয়ার বিষয়ে আলোচনা চলছে। এছাড়া জামায়াতের নেতৃত্বাধীন জোটে এনসিপি যুক্ত হলে জামায়াত ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের ভোটও যুক্ত হবে ‘শাপলা কলি’ প্রতীকে।

রংপুরের ছয়টি আসনের মধ্যে বর্তমানে রংপুর-৪ (পীরগাছা-কাউনিয়া) আসনটি রাজনৈতিকভাবে বেশ আলোচিত। স্বাধীনতার পর থেকে এই আসনে আওয়ামী লীগ ৬ বার, জাতীয় পার্টি ৪ বার এবং বিএনপি মাত্র ১ বার জয়লাভ করেছে। দীর্ঘ সময় আওয়ামী লীগের দখলে থাকা এই আসনটিতে ৫ আগস্টের গণ-অভ্যুত্থানের পর দৃশ্যপট বদলেছে। আওয়ামী লীগের অনুপস্থিতিতে এখন জয়ের স্বপ্ন দেখছে বিএনপি, জাতীয় পার্টি, এনসিপি ও জামায়াতে ইসলামী।

এই আসনে এবার প্রয়াত শিল্পপতি ও সাবেক এমপি রহিম উদ্দিন ভরসার ছেলে এমদাদুল হক ভরসাকে ঘিরেই ঘুরে দাঁড়াতে চায় বিএনপি; তৃণমূল কর্মীদের কাছে তিনিই ‘ভরসা’। অন্যদিকে, জামায়াতের প্রার্থী হিসেবে মাঠে আছেন রংপুর মহানগর আমির মাওলানা এটিএম আজম খান। একসময়ের শক্তিশালী ভোটব্যাংক থাকা জাতীয় পার্টির প্রার্থী হিসেবে লড়ছেন পীরগাছার সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আবু নাসের শাহ মাহবুবার রহমান।

নতুন দল হিসেবে এনসিপির নিজস্ব ভোটব্যাংক সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা না থাকলেও, জামায়াত ও ইসলামী আন্দোলনের সমর্থন পেলে আখতার হোসেনের ভোটের সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়বে। ভোটারদের ধারণা, বড় দলগুলোর ত্রিমুখী লড়াইয়ের মাঝে এনসিপি-জামায়াত জোট বড় ফ্যাক্টর হয়ে দাঁড়াবে।

এনসিপি ও জামায়াতের সমঝোতা প্রসঙ্গে এনসিপির রংপুর জেলা সাংগঠনিক সম্পাদক এসবি সুমন বলেন, ‘৫ আগস্টের গণ-অভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে নতুন প্রজন্মসহ সাধারণ মানুষ এনসিপির দিকে তাকিয়ে আছে। প্রার্থী হিসেবে আখতার হোসেন ব্যক্তিগতভাবেও অত্যন্ত জনপ্রিয়। জামায়াতের সাথে আসন সমঝোতা হলে এবং ইসলামী আন্দোলনসহ অন্যান্য সমমনা দল যুক্ত হলে এই আসনে আমাদের বিজয় সুনিশ্চিত হবে।’

নির্বাচনে অংশ নিতে এরই মধ্যে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন আখতার হোসেন। গত কয়েক মাস ধরে তিনি কাউনিয়া ও পীরগাছা উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় উঠান বৈঠক, জনসংযোগ ও উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছেন। আগামী ২৯ ডিসেম্বর সশরীরে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার কথা রয়েছে তার।

গত ১ জুলাই রংপুরের কাউনিয়া বাসস্ট্যান্ডে ‘দেশ গড়তে জুলাই পদযাত্রা’র পথসভায় জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম দলটির সদস্য সচিব আখতার হোসেনকে প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করেন। এরপর থেকেই নির্বাচনী মাঠে শোডাউন, মিছিল-মিটিং এবং সামাজিক-সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে ব্যস্ত সময় পার করছেন তিনি।

প্রতিনিধি/একেবি