images

সারাদেশ

হিমালয়ের হিম হাওয়ায় কাঁপছে পঞ্চগড়, দেখা নেই সূর্যের

জেলা প্রতিনিধি

২৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ১১:১১ এএম

হিমালয়ের পাদদেশে অবস্থিত দেশের উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ে বেড়েছে পাহাড়ি হিম শীতল হাওয়ায় তীব্রতা। কনকনে শীতে জবুথবু অবস্থা বিরাজ করছে পুরো জেলা জুড়ে। গত দুই দিন ধরে সূর্যের দেখা না মেলায় চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন সাধারণ মানুষ, বিশেষ করে নিম্নআয়ের জনগোষ্ঠী।

রোববার (২৮ ডিসেম্বর) সকাল ৯টা পর্যন্ত পঞ্চগড় জেলা শহরের ব্যস্ততম সড়কগুলোতে মানুষের উপস্থিতি ছিল উল্লেখযোগ্যভাবে কম। জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হওয়া মানুষজনকে উষ্ণতা পেতে রাস্তার পাশে কাগজ ও খড়কুটো জ্বালিয়ে আগুন পোহাতে দেখা গেছে। ঠান্ডার কারণে বাজারগুলোতেও কমেছে ক্রেতা-বিক্রেতার আনাগোনা।

আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে, দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ১৬ থেকে ১৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে ওঠানামা করলেও রোববার সকাল ৯টায় তেঁতুলিয়ায় জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৩ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯৫ শতাংশ এবং বাতাসের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় প্রায় ১০ থেকে ১২ কিলোমিটার।

thumbnail_20251225_075833

পঞ্চগড় সদরের ডোকরোপাড়া এলাকার বাসিন্দা আকতার হোসেন বলেন, গত কয়েকদিন ধরে ঠান্ডা অনেক বেড়ে গেছে। কনকনে হিম বাতাসে কাজ করতে খুব কষ্ট হচ্ছে।

ভ্যানচালক সুজন আলী বলেন,আজ কুয়াশা কিছুটা কম থাকলেও ঠান্ডা বাতাস অনেক বেশি। এতে ভ্যান চালাতে কষ্ট হচ্ছে, যাত্রীও কম।

thumbnail_20251225_082226(1)

ঠান্ডার তীব্রতায় গৃহস্থালি কাজেও বিপাকে পড়ছেন জেলার নারীরা। তারা জানান, ঠান্ডা পানিতে কাজ করতে গিয়ে অনেকেই শীতজনিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন।

তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিতেন্দ্র নাথ রায় জানান, গতকাল শনিবার তেঁতুলিয়ায় জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা রোববার বেড়ে ১৩ দশমিক ৩ ডিগ্রিতে দাঁড়িয়েছে। তাপমাত্রা সামান্য বাড়ায় কুয়াশা কিছুটা কমলেও ঠান্ডা বাতাস এখনও অব্যাহত রয়েছে। সামনের দিকে তাপমাত্রা আরও কমতে পারে।

প্রতিনিধি/টিবি