জেলা প্রতিনিধি
২৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ১০:৫০ এএম
ঠাকুরগাঁওয়ে জেঁকে বসেছে তীব্র শীত। দুই দিন থেকে সূর্যের দেখা মিলছে না। ঘন কুয়াশা ও হিমেল হাওয়ায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে স্বাভাবিক জনজীবন। সন্ধ্যা থেকেই ঘন কুয়াশায় ঢেকে যায় পুরো এলাকা। কয়েক হাত দূরের কিছুই স্পষ্ট দেখা যায় না। এতে ব্যাহত হচ্ছে সড়ক ও নৌযান চলাচল। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া মানুষ ঘর থেকে বের হতে পারছে না।
রোববার (২৮ ডিসেম্বর) ভোরে জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে মাত্র ১০ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
![]()
হাড়কাঁপানো শীতে সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়েছেন খেটে খাওয়া মানুষ, দিনমজুর ও নিম্ন আয়ের শ্রমজীবীরা। শীতের কারণে কাজের সুযোগ কমে যাওয়ায় অনেকেই পড়েছেন চরম ভোগান্তিতে। শীত থেকে বাঁচতে আগুন জ্বালিয়ে কিংবা মোটা কাপড় পরে কোনোরকমে দিন কাটাচ্ছেন তারা।
এদিকে, শীতজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে রোগীর সংখ্যাও বাড়ছে। চিকিৎসকরা শিশু ও বয়স্কদের বিশেষ সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন।
![]()
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপ-পরিচালক (শস্য) মো. আলমগীর কবীর ঢাকা মেইলকে জানান, আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী ঠাকুরগাঁওয়ে ভোরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে মাত্র ১০ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বোচ্চ ২৪ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
তিনি আরও জানান, এই অবস্থায় শীতজনিত ক্ষতি এড়াতে কৃষকদের প্রয়োজনীয় সতর্কতা অবলম্বনের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। বিশেষ করে বোরো বীজতলা, শাকসবজি ও আলু ক্ষেত কুয়াশা ও ঠান্ডা বাতাস থেকে রক্ষায় নিয়মিত সেচ, ক্ষেত পরিষ্কার রাখা এবং প্রয়োজনে খড় বা পলিথিন দিয়ে ঢেকে রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে রোগবালাই দেখা দিলে দ্রুত কৃষি কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করার আহ্বান জানান তিনি।
প্রতিনিধি/টিবি