জেলা প্রতিনিধি
২৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৮:৪৯ পিএম
নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় বুড়িগঙ্গা নদীতে এক লঞ্চের ধাক্কায় একটি মাটি বোঝাই বাল্বহেড ডুবে গেছে। এ ঘটনায় প্রায় ১১ ঘণ্টা পর ডুবে যাওয়া বাল্কহেডসহ ২ শ্রমিকের লাশ উদ্ধার করেছে নৌ পুলিশ।
শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা পৌনে ৬টার দিকে তাদের লাশ উদ্ধার করা হয়। এর আগে, সকাল আনুমানিক ৭টার দিকে ফতুল্লার ধর্মগঞ্জ ফতুল্লার ধর্মগঞ্জস্থ আফসার ফিলিং স্টেশনের সামনে এক বেসরকারি ডকইয়ার্ডের ঘাটে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন, পটুয়াখালীর ধুমকি থানাধীন চরগরবদী গ্রামের আমির হাওলাদারের ছেলে শাকিল আহমেদ (২৪) এবং ঝালকাঠি জেলার রাজাপুর এলাকার মোহাম্মদ হাসান (২০)। তারা দুজনই বাল্কহেডের লস্কর ছিলেন।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, মাটিবোঝাই ‘কাশফাস্নেহা’ বাল্কহেডটি ওই ঘাটে নোঙর করা ছিল। শুক্রবার ভোর ৭টার দিকে ঢাকামুখী যাত্রীবাহী লঞ্চ ‘সুন্দরবন-১৬’ নদীর তীরে নোঙর করা বাল্কহেডটির পেছনের দিকে (কেবিন সাইটে) আঘাত করে। ধাক্কার তীব্রতায় বাল্কহেডটি দুমড়ে-মুচড়ে দ্রুত তলিয়ে যেতে শুরু করে।
এসময় বাল্কহেডের ওপরে থাকা তিন শ্রমিক সাঁতরে তীরে উঠতে সক্ষম হন, তবে কেবিনে ঘুমিয়ে থাকা দুজন শ্রমিক নিখোঁজ থাকেন। ধাক্কা দেওয়ার পর লঞ্চটি ঢাকার দিকে চলে যায়। পরে টানা ১১ ঘণ্টা অভিযানে কেবিনের মধ্য থেকে ওই দুই শ্রমিকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
নারায়ণগঞ্জ নৌ পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি মো. আলমগীর হোসেন জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে চেষ্টা করি বাল্কহেডটি উদ্ধারের। নিখোঁজ শ্রমিকদের পরিবার দাবি করেন, দুজন বাল্কহেডের ভিতরে আটকা পড়েছে। পরে বাল্কহেডের ইঞ্জিন রুমের গ্রিল কেটে কেবিন থেকে ওই দুই শ্রমিকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এসএম ফয়েজ উদ্দিন জানান, দুর্ঘটনায় নিখোঁজ দুজনের মরদেহ উদ্ধারের পর তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। দুর্ঘটনার জন্য দায়ী লঞ্চটি আটক করা হয়েছে। দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।
প্রতিনিধি/এসএস