জেলা প্রতিনিধি
২৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ১০:৪৩ এএম
পঞ্চগড়ে হিমশীতল বাতাসে জেঁকে বসেছে শীত। সেখানে ১০ ডিগ্রিতে নেমেছে তাপমাত্রা। ফলে শীতের দাপটে কাবু হয়ে পড়েছে এ অঞ্চলের মানুষ। ঘনকুয়াশায় আচ্ছন্ন হয়ে আছে গোটা জনপদ। দুপুর পর্যন্ত দেখা মিলছে না সূর্যের। গতরাত থেকে ঘনকুয়াশা আর হিমশীতল বাতাসের কারণে হাড় কাঁপানো শীত অনুভূত হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় সর্বনিম্ন ১০ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করে তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিস। এ সময় বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ১০০ শতাংশ ছিল।
তেঁতুলিয়া প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিতেন্দ্রনাথ রায় এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এদিকে কয়েক দিন ধরে দিন ও রাতের তাপমাত্রা কমে যাওয়ায় উত্তরের হিমেল বাতাস আর ঘনকুয়াশায় শীতের প্রকোপ বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রতিদিন সন্ধ্যার পর থেকে হালকা কুয়াশার সঙ্গে কনকনে শীত অনুভূত হয়। রাতভর হালকা থেকে ঘনকুয়াশায় ঢেকে থাকে এলাকা। হিমেল বাতাসের সঙ্গে কুয়াশার কারণে স্থবিরতা দেখা দিয়েছে জনজীবনে। শীতে এ অঞ্চলের খেটে খাওয়া মানুষের দুর্ভোগ বেড়েছে।
সীমাহীন কষ্টে রয়েছেন পাথর, চা, রিকশা, ভ্যানচালক ও কৃষি শ্রমিকরা। শীতের কারণে জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কেউ রিকশা-ভ্যানে উঠতে চায় না। কনকনে শীতের কারণে দৈনন্দিন আয় কমে গেছে এসব শ্রমজীবী মানুষের। সকাল বেলা ঠান্ডা বাতাসে কাবু হয়ে পড়া মানুষ গরম কাপড় পরে বের হওয়ার পাশাপাশি অনেকেই খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন। ঘনকুয়াশায় সড়ক-মহাসড়কে যানবাহনগুলোকে হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করতে দেখা গেছে।
অন্যদিকে শীতের কারণে কারণে পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালসহ বিভিন্ন স্বাস্থ্যকেন্দ্রে বাড়ছে শীতজনিত রোগীর সংখ্যা। পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালের বহির্বিভাগে প্রতিদিন গড়ে তিন শতাধিক রোগী কাশি, সর্দি, শ্বাসকষ্ট নিয়ে চিকিৎসা সেবা নিচ্ছেন। বিশেষ করে শিশু ও বেশি বয়স্করা সর্দি, কাশি, নিউমোনিয়া ও ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হচ্ছেন। হাসপাতালের বিভিন্ন কক্ষে স্থান সংকুলান না হওয়ায় মেঝে বা বারান্দায় স্থান নিয়েছেন অনেক রোগী।
তেঁতুলিয়া প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিতেন্দ্রনাথ রায় বলেন, পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া এবং এর আশেপাশের এলাকায় কনকনে হিমশীতল ঠান্ডায় জেঁকে বসেছে শীত। বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় সর্বনিম্ন ১০ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। তখন বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ১০০ শতাংশ।
প্রতিনিধি/ এমইউ