images

সারাদেশ

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কুরুচিপূর্ণ ভিডিও দেওয়ায় শিক্ষককে বরখাস্ত

জেলা প্রতিনিধি

২৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ১০:২৮ পিএম

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক ও টিকটকে কুরুচিপূর্ণ, অশ্লীল ও আপত্তিকর ভিডিও দেওয়ায় চাঁপাইনবাবগঞ্জে একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। বরখাস্তকৃত সহকারী শিক্ষক নাচোল উপজেলার বহরইল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মোসা. নুসরাত জাহান।

ওই শিক্ষককে বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) সাময়িক বরখাস্ত করে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস। এর আগে সহকারী শিক্ষক নুসরাত জাহানের বেশকিছু টিকটক ভিডিও ভাইরাল হয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। আপত্তিকর অঙ্গভঙ্গি ও কুরুচিপূর্ণ অশ্লীল ভিডিও ছড়িয়ে পড়ার পর তাকে সাময়িক বরখাস্তের সিদ্ধান্ত নেয় জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস।

স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে নিয়মিত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক ও টিকটকে নিজের জিম করা ভিডিও আপলোড করেন সহকারী শিক্ষক নুসরাত জাহান। এসব ভিডিওতে নুসরাত জাহানকে অশ্লীল অঙ্গভঙ্গি ও আপত্তিকর পোশাকে দেখা যায়। সহকারী শিক্ষকের এসব ভিডিও সাম্প্রতিক সময়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে তীব্র সমালোচনা শুরু হয়।

IMG-20251224-WA0011

জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. সাইফুল ইসলাম সহকারী শিক্ষক নুসরাত জাহানকে বরখাস্তের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এনিয়ে তিনি জানান, সামাজিক মাধ্যমে আপত্তিকর ভিডিও ছড়িয়ে পড়লে তা নিয়ে সমালোচনার মধ্যে ওই সহকারী শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

বহরইল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ মুঠোফোনে বলেন, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস আজকে (বুধবার) নুসরাত জাহানকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে। শিক্ষা অফিস কয়েকদিন আগে তাকে শোকজ করেছিল এবং সে এই শোকজের জবাব দিয়েছিল। পাশাপাশি সেসময় সে ভুল স্বীকার করে আপত্তিকর সব ভিডিও ডিলেট করেছে।

আরও পড়ুন

নাটোর-১ আসনে বোনের বিপক্ষে মনোনয়ন ফরম তুললেন ভাই

তিনি আরও বলেন, যেসব ভিডিওগুলো নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে, এগুলো তার ব্যক্তিগত কর্মকাণ্ডের। বিদ্যালয়ে পাঠদান বা উপস্থিতির সময়ে এসব করা হয়নি। এমনকি একাডেমিক কোনো অভিযোগ নেই নুসরাত জাহানের বিরুদ্ধে। এর আগে তাকে আপত্তিকর ভিডিও আপলোড করতে নিষেধ করা হয়েছিল বলে জানান, বহরইল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক।

তবে ভিডিওগুলো আপত্তিকর ও কুরুচিপূর্ণ নয় বলে দাবি বরখাস্তকৃত সহকারী শিক্ষক নুসরাত জাহান। তিনি বলেন, আমার বিরুদ্ধে বিদ্যালয়ে পাঠদান বা উপস্থিতি সংক্রান্ত কোনো অভিযোগ নেই। ব্যক্তিগত জীবনে আমি জিম করার কিছু ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আপলোড করেছিলাম। দেশে প্রচলিত পোশাক পরিধান করেই এসব ভিডিও ধারণ করি। কিন্তু আমাকে হেনস্তা করতেই আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। এর আগে এনিয়ে আমাকে নোটিশ করলে সেসময় ভিডিও ডিলেট করি এবং ফেসবুক আইডিও ডিঅ্যাকটিভ করেছিলাম।

প্রতিনিধি/এসএস