জেলা প্রতিনিধি
২৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৮:১৯ পিএম
সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ব্রহ্মরাজপুর পুলিশ ফাঁড়িতে হামলা চালিয়ে সাতক্ষীরার বেতনা নদীর খনন করা মাটি লুটের ঘটনায় আটক কিসমত আলীকে ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন পুলিশ ফাঁড়ির দুই সদস্য।
বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) বেলা এগারোটার দিকে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ব্রহ্মরাজপুর পুলিশ ফাঁড়িতে এ হামলার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় আটজনের বিরুদ্ধে সাতক্ষীরা সদর থানায় মামলা হয়েছে।
![]()
আহত পুলিশ সদস্যরা হলেন, ব্রহ্মরাজপুর পুলিশ ফাঁড়ির সহকারী উপপরিদর্শক মাহাবুর রহমান ও সিপাহি মেহেদি হাসান। ব্রহ্মরাজপুর পুলিশ ফাঁড়ির কর্তব্যরত উপপরিদর্শক সোহরাব হোসেন জানান, বেতনা নদীর খনন করা মাটি নেহালপুর ও পার্শ্ববর্তী এলাকা থেকে দীর্ঘদিন ধরে লুটপাট করে আসছিল একটি মহল। সম্প্রতি পানি উন্নয়ন বোর্ডের মাধ্যমে সাতক্ষীরা শহরের এক ঠিকাদার নেহালপুর এলাকার বেতনা নদীর খনন করা মাটি কিনেছেন মর্মে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অর্ণব দত্ত তাকে মঙ্গলবার অবহিত করেন। এ কারণে তিনি তাদেরকে মাটি কাটতে বাধা দেন। এতে তার ওপর চড়াও হয় কেসমত ও তার সহযোগীরা। এক পর্যায়ে সকাল ১০টার দিকে তিনি ট্রলিভর্তি মাটিসহ কেসমতকে ধরে ফাঁড়িতে আটকে রাখেন। ফাঁড়িতে আটকে রেখে মারপিট করা হয়েছে এমন খবর ছড়িয়ে দিলে কেসমতের ভাই রহমত, স্ত্রী শাহানারা ও ভাইপো বাবুরালীসহ ৩০/৩৫ জন ফাঁড়ির ফটক জোরপূর্বক খুলে ফেলে। তারা কেসমতকে ছাড়িয়ে নেওয়ার চেষ্টা করলে সহকারী উপপরিদর্শক মাহাবুর রহমান ও সিপাহি মেহেদী হাসান বাধা দেন। হামলাকারীরা ওই দুই পুলিশ সদস্যকে পিটিয়ে জখম করে কেসমতকে ছাড়িয়ে নিয়ে যায়। ওই দুই পুলিশ সদস্যকে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
![]()
সোহরাব হোসেন আরও জানান, বুধবার ভোরে কেসমত আলীর নেতৃত্বে ৭/৮ জন নেহালপুর স্লুইজ গেটের পাশে বেতনা খননের স্তুপ করা মাটি কেটে ট্রলিতে ভরে অন্যত্র নিয়ে যাচ্ছে মর্মে তিনি খবর পান। বিষয়টি তিনি পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাদের জানান। একপর্যায়ে বিভাগীয় পানি উন্নয়ন বোর্ডের কার্যকারী রাজকুমার বুধবার সকালে ঘটনাস্থলে এসে তাদেরকে মাটি কাটতে বাধা দেন। তার ওপর চড়াও হয় কেসমত ও তার সহযোগীরা। একপর্যায়ে সকাল ১০টার দিকে তিনি ট্রলিভর্তি মাটিসহ কেসমতকে ধরে ফাঁড়িতে আটকে রাখেন। ফাঁড়িতে আটকে রেখে মারপিট করা হয়েছে এমন খবর ছড়িয়ে দিলে কেসমতের ভাই রহমত, স্ত্রী শাহানারা ও ভাইপো বাবুরালীসহ ৩০/৩৫ জন ফাঁড়ির ফটক জোরপূর্বক খুলে ফেলে। তারা কেসমতকে ছাড়িয়ে নেওয়ার চেষ্টা করলে সহকারী উপপরিদর্শক মাহাবুর রহমান ও সিপাহী মেহেদী হাসান বাধা দেন। হামলাকারীরা ওই দুই পুলিশ সদস্যকে পিটিয়ে জখম করে কেসমতকে ছাড়িয়ে নিয়ে যায়। ওই দুই পুলিশ সদস্যকে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
![]()
এ ব্যাপারে কেসমত হোসেন দাবি করে বলেন, পুলিশের নিষেধ অমান্য করে তিনি বুধবার সকালে বেতনার মাটি কাটছিলেন এটা সত্য। কিন্তু তাকে ধরে আনার পর আর কখনও মাটি কাটবেন না বলার পরও ফাঁড়ির কর্মকর্তা উপপরিদর্শক সোহরাব হোসেন তাকে মারপিট করেছে।
সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মাসুদুর রহমান জানান, ব্রহ্মরাজপুর পুলিশ ফাঁড়িতে হামলার ঘটনায় কেসমতসহ আটজনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা ২০/৩০ জনের বিরুদ্ধে সাতক্ষীরা পানি উন্নয়ন বোর্ডের সহকারী প্রকৌশলী লিয়াকত হোসেন বুধবার সন্ধ্যায় থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।
প্রতিনিধি/এসএস