জেলা প্রতিনিধি
২৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২:০৫ পিএম
হিমেল বাতাস ও ঘন কুয়াশায় আচ্ছন্ন দিনাজপুরে জনজীবনে নেমে এসেছে চরম দুর্ভোগ। কুয়াশার দাপটে দৃশ্যমানতা কমে যাওয়ায় দিনের আলো থাকলেও সড়কে চলাচলকারী যানবাহনকে হেডলাইট জ্বালিয়ে চলতে হচ্ছে। প্রচণ্ড শীতে মানুষের স্বাভাবিক কাজকর্ম ব্যাহত হচ্ছে প্রতিনিয়ত।
বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) সকাল ৬টায় দিনাজপুরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯৬ শতাংশ।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দিনাজপুর জেলা আবহাওয়া অফিসের ইনচার্জ তোফাজ্জল হোসেন।
টানা কয়েকদিনের হাড়কাঁপানো ঠান্ডায় সবচেয়ে অসহায় হয়ে পড়েছে শিশু, নারী ও প্রবীণরা। ঠান্ডার প্রকোপে সর্দি-কাশি, জ্বর ও শ্বাসকষ্টসহ নানা শীতজনিত রোগে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে।
হোটেল শ্রমিক আবেদ আলী বলেন, প্রতিদিন ভোরবেলায় কাজে বের হতে হয় আমাকে। এই কনকনে ঠান্ডায় ভোরে ঘুম থেকে ওঠাই যেন সবচেয়ে বড় সংগ্রাম। শরীর জবুথবু হয়ে যায়, তবু থেমে থাকার উপায় নেই। কাজ না করলে পেটে ভাত জুটবে না, সংসারও চলবে না। তাই সব কষ্ট বুকে চেপে প্রতিদিনই কাজে বের হয়ে পড়ি।
অটোরিকশার চালক মনসুর বলেন, ঘন কুয়াশায় যখন মানুষ ঘর থেকে বের হতে চায় না, তখনও আমাদের রাস্তায় নামতে হয়। এটাই আমাদের সংসার চালানোর একমাত্র উপায়। যতই কনকনে ঠান্ডা পড়ুক না কেন, বের না হলে চলবে না।
তিনি আরও বলেন, এখন আগের মতো ভোরে ভাড়া পাওয়া যায় না, সারাদিনেও যাত্রী কম। শীত এলেই আমাদের মতো খেটে খাওয়া মানুষের কষ্ট আরও বেড়ে যায়।
দিনাজপুর জেলা আবহাওয়া অফিস ইনচার্জ তোফাজ্জল হোসেন বলেন, আজ (বুধবার) সকাল ৬টায় দিনাজপুরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯৬ শতাংশ। সামনে দিনগুলোতে তাপমাত্রা আরও কমতে পারে।
প্রতিনিধি/টিবি