নেত্রকোনায় অটোস্ট্যান্ডে যাত্রী ওঠানামা নিয়ে সংঘর্ষে যুবক নিহত

নেত্রকোনার পূর্বধলায় অটোস্ট্যান্ডে যাত্রী ওঠানামাকে কেন্দ্র করে দুপক্ষের সংঘর্ষে জিহাদুল ইসলাম (৩২) নামে এক যুবক নিহত হয়েছেন।

সোমবার (২২ ডিসেম্বর) বিকেল ৩টার দিকে পূর্বধলা উপজেলার চৌরাস্তা মোড়ের ইলাসপুর এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।

সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সজল কুমার সরকার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

নিহত জিহাদুল ইসলাম পূর্বধলা সদর ইউনিয়নের ইলাসপুর গ্রামের আব্দুল হাইয়ের ছেলে। পেশায় তিনি একজন ট্রাকচালক ছিলেন এবং তার দুটি সন্তান রয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার চৌরাস্তা অটোস্ট্যান্ডে যাত্রী ওঠানামা নিয়ে দুই অটোরিকশা চালকের মধ্যে বাকবিতণ্ডা শুরু হয়। জিহাদুল ইসলাম বিষয়টি মীমাংসা করতে গেলে অটোরিকশা চালক নিজাম উদ্দিনের সঙ্গে তার কথা কাটাকাটি ও হাতাহাতি হয়। উপস্থিত স্থানীয় লোকজন সে সময় পরিস্থিতি শান্ত করে উভয় পক্ষকে বাড়িতে পাঠিয়ে দেন।

এর কিছুক্ষণ পর নিজাম উদ্দিন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রসহ তার লোকবল নিয়ে পুনরায় জিহাদুলের ওপর হামলা চালায়। এ সময় জিহাদুলের পক্ষের লোকজন তাদের প্রতিহত করতে গেলে সংঘর্ষ বেঁধে যায়। সংঘর্ষের একপর্যায়ে নিজাম উদ্দিন শাবল দিয়ে জিহাদুলের শরীরে আঘাত করলে তিনি গুরুতর জখম হন।

স্থানীয়রা গুরুতর আহত অবস্থায় জিহাদুলকে উদ্ধার করে পূর্বধলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক সোহেল রানা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

খবর পেয়ে সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সজল কুমার সরকার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। তিনি জানান, অটোরিকশার যাত্রী ওঠানামা ও ভাড়া নিয়ে বাকবিতণ্ডার জেরে এই সংঘর্ষের সূত্রপাত। তবে তাদের মধ্যে আগে থেকেই জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধ ছিল বলেও প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ জেলা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হচ্ছে। তদন্ত সাপেক্ষে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

পূর্বধলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. দিদারুল ইসলাম বলেন, ‘পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে এবং অভিযুক্তদের শনাক্তের কাজ চলছে। লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে ময়নাতদন্তের জন্য নেত্রকোনা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় পরবর্তী আইনি প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।’

প্রতিনিধি/একেবি