জেলা প্রতিনিধি
২২ ডিসেম্বর ২০২৫, ১১:০৭ এএম
মাদারীপুরে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতা ও সাবেক সংসদ সদস্য শাজাহান খানের বাড়ি ও তার ভাইদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ফের হামলার আশঙ্কায় সেখানে নেতাকর্মীদের নিয়ে মহড়া ও পাহারা বসিয়েছিলেন মাদারীপুর জেলা যুবদলের আহবায়ক ফারুক হোসেন বেপারী। তার বিরুদ্ধে সংগঠন বিরোধী কর্মকাক্রমের অভিযোগ ওঠায় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদলের কেন্দ্রীয় কমিটির থেকে কারণ দর্শানো নোটিশ (শোকজ) দেওয়া হয়েছে।
রোববার (২১ ডিসেম্বর) বিকেলে যুবদলের সহদম্পর সম্পাদক মিনহাজুল ইসলাম ভূইয়ার সই করা একটি নোটিশের মাধ্যমে ফারুক বেপারী কাছে এর জবাব চাওয়া হয়।
বিএনপির স্থানীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ওসমান হাদীকে হত্যার প্রতিবাদে গত শনিবার মাদারীপুরের বিভিন্ন স্থানে প্রতিবাদ, বিক্ষোভ মিছিল ও গায়েবানা জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এর আগে শুক্রবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ বিভিন্ন গ্রুপে আওয়ামী লীগ নেতা শাজাহান খানের বাড়ি ও তার ভাইদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে সামনে ঘেরার কর্মসূচির ডাক দেওয়া হয়। বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনেকেই উদ্বেগ প্রকাশ করেন।
বর্তমানে শাজাহান খান ও তার ছেলে আসিবুর রহমান আসিব খান কারাগারে। তার ভাইয়েরা পলাতক হলেও মাদারীপুরে তাদের পরিবহন, আবাসিক হোটেল, পেট্রোল পাম্পসহ সব ধরণের ব্যবসাবাণিজ্য সচল রয়েছে।
মাদারীপুর শহরের চাঁনমারি মসজিদের সামনে শাজাহান খানের আলিশান দশ তলা ভবনসহ তার ভাইদের চারটি বাড়ি, আবাসিক হোটেল, রেস্টুরেন্ট ও পেট্রোল পাম্পে কোনো ধরনের সহিংসতা যেন না হয় তার জন্য যুবদলের নেতা ফারুক হোসেন বেপারীর নেতৃত্বে তার অন্তত অর্ধশত কর্মীরা শনিবার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত পাহারায় ছিলেন। তাদের একাধিক ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। যা নিয়ে অনেকেই তাদের সমালোচনা করেছেন।
জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির জ্যেষ্ঠ সদস্য কে এম তোফাজ্জল হোসেন বলেন, ফারুক বেপারীর ঘটনা ইতোমধ্যে জেলায় ভাইরাল। যা বিএনপি ও যুবদলের ভাবমূর্তির প্রশ্ন উঠেছে। কেন্দ্র থেকে তার বির্তকিত কর্মকাণ্ডের জন্য শোকজ করা হয়েছে। তিন দিনের মধ্যে তাকে জবাব দিতে বলা হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে যুবদল নেতা ফারুক হোসেন বেপারী বলেন, সারাদেশে গাড়িঘোরা ভাঙচুর ও জ্বালাও পোড়ার করে যেন সংসদ নির্বাচন পিছিয়ে যায় এমন একটি বার্তা কেন্দ্র থেকে আমরা পেয়েছি। পরে ওসি ও এসপি সাহেব আমাকে ফোন দিয়েছে। তারা বলেছে, আপানারা মাঠে থাকেন। তাদের ফোন পাওয়ার পরে আমরা যুবদলের ৪০ থেকে ৫০ জন চারটি দলে ভাগ হয়ে বিভিন্ন স্থানে অবস্থান নেই। মাদারীপুরে ৫টি স্থাপনায় হামলা হাওয়ার আশঙ্কা ছিল। তৃতীয় পক্ষ যেন কোনো সুবিধা না নেয়, তার জন্য মাঠে ছিলাম। আমরা হাদির হত্যাকারীদের ফাঁসির দাবিতে মিছিলও করেছি। মহড়া দিয়েছি। তবে আমাদের দলের মধ্যে তো অনেক গ্রুপিং আছে। তারা কেন্দ্রে ভুল তথ্য দিয়েছে। তারা বুঝিয়েছে, আমরা নাকি শাজাহান খানের সার্বিক পেট্রোল পাম্প, পরিবহন পাহারা দিয়েছি। শাজাহান খানের বাড়ি ও ব্যবসা বাণিজ্য আমরা পাহারা দেইনি। এটা ভুল ধারণা। নাশকতার আশঙ্কায় আমরা পুলিশ ও র্যাবের সঙ্গে রাজপথে ছিলাম।
প্রতিনিধি/টিবি