জেলা প্রতিনিধি
২২ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৫:২২ এএম
ফরিদপুরে অভিযান চালিয়ে একটি মোটরসাইকেল চোর চক্রের সাত সদস্যকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
রোববার (২১ ডিসেম্বর) দুপুরে আইনগত প্রক্রিয়া শেষে গ্রেফতারদের ফরিদপুরের আদালতে পাঠানো হয়েছে।
এর আগে শনিবার (২০ ডিসেম্বর) রাতে ফরিদপুর শহরের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়। অভিযানের সময় চুরি হওয়া দুটি মোটরসাইকেল উদ্ধার করে পুলিশ। সম্প্রতি শহরে একাধিক মোটরসাইকেল চুরির ঘটনায় মামলা দায়ের হলে কোতোয়ালি থানা পুলিশ এই বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে।
গ্রেফতাররা হলেন— ফরিদপুর শহরের আলীপুর গোরস্থান এলাকার মামুন মোল্লার ছেলে তামিম মোল্লা (২৪), আলীপুর কানাই মাতুব্বরের মোড় এলাকার সরোয়ার হোসেনের ছেলে আনিক ইসলাম (২৫), একই এলাকার ইউনুছ শেখের ছেলে রাতুল শেখ (২৪), চরমাধবদিয়া ইউনিয়নের হামেদ মুন্সী ডাঙ্গীর আনোয়ার শেখের ছেলে লিয়ন শেখ (২৬), শহরের শোভারামপুর এলাকার সাইদা গাছীর ছেলে সিদ্দিক সরদার (৪২), সদর উপজেলার ইব্রাহিমদী গ্রামের আব্দুল মান্নানের ছেলে এনামুল (২৮) এবং নড়াইল জেলার নড়াগাতী থানার চান্দেরচর গ্রামের মুক্তার শেখের ছেলে সাব্বির হোসেন।
অভিযান পরিচালনাকারী কোতোয়ালি থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) নূর হোসেন জানান, গ্রেফতাররা পেশাদার চোরচক্রের সদস্য। তারা নিয়মিত মোটরসাইকেল ও অটোরিকশা চুরি করে থাকে। তাদের কাছে বিশেষ ধরনের চাবি রয়েছে, যা ব্যবহার করে যেকোনো মোটরসাইকেল চালু করা সম্ভব। এর আগেও তারা পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়েছিল। জামিনে মুক্ত হয়ে পুনরায় চুরির সঙ্গে জড়ায় তারা।
থানা সূত্রে জানা গেছে, গত শুক্রবার দুপুরে শহরের রঘুনন্দনপুর এলাকা থেকে জুনায়েদ হাবিব নামের এক শিক্ষকের মোটরসাইকেল চুরি হয়। ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে চোরদের প্রাথমিক পরিচয় শনাক্ত করা সম্ভব হয়। পরে পুলিশ তাদের অবস্থান নিশ্চিত করে অভিযান চালিয়ে প্রথমে তামিম মোল্লা ও আনিক ইসলামকে গ্রেফতার করে। জিজ্ঞাসাবাদে তারা মোটরসাইকেল চুরির কথা স্বীকার করে। পরবর্তীতে তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে চক্রের অন্য সদস্যদের গ্রেফতার করা হয় এবং চুরি হওয়া মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়।
ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহিদুল ইসলাম জানান, এই চক্রের সঙ্গে আরও কয়েকজন জড়িত রয়েছে। তাদের কাছে চুরি হওয়া আরও একটি মোটরসাইকেল থাকার তথ্য পাওয়া গেছে। চক্রের বাকি সদস্যদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। গ্রেফতারদের বিরুদ্ধে কোতোয়ালি থানায় একাধিক মামলা রয়েছে।
/এএস