জেলা প্রতিনিধি
২১ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৬:৩১ পিএম
নওগাঁর আলোচিত নুনিয়াপট্টিতে অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ বাংলা মদসহ ৭০ কেজি গাঁজা জব্দ করেছে পুলিশ। এ সময় মাদক ব্যবসার কাজে জড়িত থাকার অভিযোগে দুইজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এদিকে অভিযান পরিচালনা করায় পুলিশ সুপারের কার্যলায় এবং জেলা প্রশাসকের কার্যলায় ঘেরাও করে নুনিয়াপট্টির বাসিন্দারা।
রোববার (২১ ডিসেম্বর) সকাল ৯টা থেকে বেলা ২টা পর্যন্ত শহরের নুনিয়াপট্টি সুইপার কলোনি এলাকায় টানা ৫ ঘণ্টা অভিযান পরিচালনা করে পুলিশ। বিকেল ৪টার দিকে নওগাঁ সদর মডেল থানায় সংবাদ সম্মেলন করে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ তারিকুল ইসলাম এসব তথ্য জানান।
অভিযানে গ্রেফতার ব্যক্তিরা হলেন, নুনিয়াপট্টি সুইপার কলোনি এলাকার রাহুল(১৯) এবং রাজা বাসফোড়(৩৭)।
পুলিশ সুপার মোহাম্মদ তারিকুল ইসলাম বলেন, শহরের সুইপার কলোনিতে অনেকদিন যাবৎ মাদক কেনা-বেচা হয়ে আসছিল। আমাদের কাছে খবর আসে সুইপার কলোনিতে বিপুল পরিমাণ মাদকদ্রব্য মজুত রয়েছে। সদর থানা পুলিশ, গোয়েন্দা বিভাগ এবং জেলা পুলিশের বিশেষ একটি টিম গঠন করে অভিযান পরিচালনা করি। প্রথমে সদর থানা পুলিশের একটি টিম অভিযান চালিয়ে ২৫ -৩০ কেজি পরিমাণ গাঁজা পায়। পরবর্তীতে ডিবি এবং জেলা পুলিশের বিশেষ একটি টিমসহ আমি সেখানে যাই এবং অভিযান পরিচালনা করি। অভিযান চালিয়ে ৭০ কেজি গাঁজা, ১৬ লিটার বাংলা মদ এবং মাদকদ্রব্য বিক্রয়ের কাজে ব্যবহৃত ১ লাখ ৮ হাজর ৯০ টাকা জব্দ করা হয়। এই মাদকগুলো নওগাঁর বিভিন্ন এলাকায় বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে মজুত করে রাখা হয়েছিল। অবৈধভাবে মাদকদ্রব্য রাখার অভিযোগে দুইজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
তিনি বলেন, অভিযানের খবর টের পেয়ে কয়েকজন আসামি পালিয়ে গেছে। তাদেরকে ধরতে আমাদের অভিযান অব্যাহত আছে। জেলা পুলিশ মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি অবলম্বন করছে সেই সঙ্গে মাদকের বিষয়ে আরও কঠোর অভিযান পরিচালনা করা হবে।
এদিকে বিকেল ৪টার দিকে অভিযানের সময় মাদকদ্রব্য না পেয়ে ঘর থেকে মোটা অঙ্কের টাকা এবং স্বর্ণালংকার নিয়ে এসেছে পুলিশ এমন অভিযোগে পুলিশ সুপারের কার্যালয় ঘেরাও করে নুনিয়াপট্টির বাসিন্দারা। পরবর্তীতে সেখান থেকে কোন সমাধান না পেয়ে তারা জেলা প্রশাসকের কার্যালয় ঘেরাও করে।
এ বিষয়ে নওগাঁর পুলিশ সুপার মোহাম্মদ তারিকুল ইসলাম বলেন, অভিযানের সময় উদ্ধারকৃত মালামাল জব্দ তালিকায় দেখানো হয়েছে। কোর্টের মাধ্যমে বৈধ মালামাল ফেরত পাবে।
সংবাদ সম্মেলনে নওগাঁ সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মুশফিকুর রহমান, সদর মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নিয়ামুল হক, সদর থানার পরিদর্শক (ওসি তদন্ত) খোরশেদ আলমসহ পুলিশের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
প্রতিনিধি/এজে