জেলা প্রতিনিধি
২১ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৬:৩০ পিএম
সাতক্ষীরা সদরের বল্লী মো. মুজিবুর রহমান মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষককে মারধর ও লাঞ্ছিত করে দায়িত্ব দখলের অভিযোগে এক সহকারী শিক্ষকের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।
গ্রেফতারি পরোয়ানা পাওয়া ওই শিক্ষক হলেন বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক একেএম আজহারুজ্জামান মুকুল। তিনি বর্তমানে বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন বলে জানা গেছে।
মামলার নথি ও আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০২৪ সালের ৬ আগস্ট সকাল ১১টার দিকে বিদ্যালয় চত্বরে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মো. জামিলুজ্জামানকে মারধর ও লাঞ্ছিত করার ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী শিক্ষক মো. জামিলুজ্জামান সাতক্ষীরার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট প্রথম আদালতে মামলা করেন।
মামলার তদন্ত শেষে চলতি বছরের ১০ নভেম্বর সিআইডি তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়। প্রতিবেদনে মামলায় উল্লেখ থাকা ১০ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে বলে উল্লেখ করা হয়।
বাদীপক্ষের আইনজীবী আব্দুর মুজিদ জানান, রোববার (২১ ডিসেম্বর) মামলার পাঁচ আসামি আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করেন। আদালত জামায়াত নেতা মহাব্বত খাঁ ও আজমল হোসেনের জামিন নামঞ্জুর করে তাদের কারাগারে পাঠান। একই সঙ্গে মামলার প্রধান আসামি একেএম আজহারুজ্জামান মুকুলসহ আরও চারজনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়।
ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা যায়, বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে কয়েকজন ব্যক্তি ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষককে মারধর করে বের করে দিচ্ছেন। অন্য একটি ভিডিওতে অভিযুক্ত শিক্ষক একেএম আজহারুজ্জামান মুকুলকে প্রধান শিক্ষকের কক্ষে বসে বিভিন্ন বক্তব্য দিতে দেখা যায়, যা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দেয়।
ভুক্তভোগী শিক্ষক মো. জামিলুজ্জামান বলেন, তিনি ২০০২ সালে সহকারী শিক্ষক হিসেবে বিদ্যালয়ে যোগ দেন এবং ২০২২ সালে নিয়মিত পরীক্ষার মাধ্যমে সহকারী প্রধান শিক্ষক পদে উন্নীত হন। প্রধান শিক্ষকের পদ শূন্য থাকায় বিধি অনুযায়ী তিনি ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন।
তিনি অভিযোগ করেন, ৬ আগস্ট বিদ্যালয়ে দায়িত্ব পালনকালে সহকারী শিক্ষক আজহারুজ্জামান মুকুলের নেতৃত্বে কয়েকজন বহিরাগত তাকে কক্ষ থেকে বের করে মারধর করেন এবং প্রকাশ্যে লাঞ্ছিত করেন। পরে তার বাড়িতে ভাঙচুর ও লুটপাট চালানো হয় বলেও দাবি করেন তিনি।
ঘটনার পর বিষয়টি জেলা প্রশাসক, শিক্ষা বোর্ডসহ সংশ্লিষ্ট দফতরে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে বলে জানান জামিলুজ্জামান। তিনি বলেন, আমি আদালতের ওপর আস্থা রাখছি। আশা করি ন্যায়বিচার পাব।
প্রতিনিধি/এসএস