জেলা প্রতিনিধি
২১ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৩:৫৩ পিএম
সুদানের আবেই জাতিসংঘের (ইউএন) শান্তিরক্ষা মিশনে দায়িত্বকালে সন্ত্রাসীর হামলায় নিহত মাসুদ রানার মরদেহ নাটোরে গ্রামের বাড়িতে পৌঁছেছে। এসময় কান্নায় ভেঙে পড়েন নিহতের স্বজনরা। শহীদ মাসুদকে এক পলক দেখতে তার বাড়িতে আসেন বন্ধু, আত্মীয়-স্বজন ও প্রতিবেশীরা।
রোববার(২১ ডিসেম্বর) দুপুর ৩টার দিকে লালপুরের বোয়ালিয়াপাড়া নিজ গ্রামে পৌঁছায় জাতীয় পতাকায় মোড়ানো মাসুদের মরদেহটি। ওইদিন দুপুর আড়াইটার দিকে মাসুদের মরদেহ বহনকারী হেলিকপ্টার করিমপুর উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে অবতরণ করে। বিকেলে দ্বিতীয় জানাজা শেষে স্থানীয় কবরস্থানে মাসুদকে দাফন করা হবে।
শহীদ মাসুদ রানা নাটোর জেলার লালপুর উপজেলার আড়বাব ইউনিয়নের বোয়ালিয়াপাড়া গ্রামের মৃত সাহার উদ্দিনের ছেলে। পরিবারে মা, স্ত্রী ও আমেনা নামে আট বছরের এক কন্যা সন্তান রয়েছে। শান্তিরক্ষা মিশনে যাওয়ার আগে নিহত মাসুদ রানা যশোর ক্যান্টনমেন্টে কর্মরত ছিলেন। মাসুদ রানাসহ তারা তিন ভাই সেনাবাহিনীতে যোগ দেন। তিন ভাইয়ের মধ্যে মাসুদ রানা সবার বড়।
গত (১৩ ডিসেম্বর) শনিবার সুদানের আবেই ঘাঁটিতে সন্ত্রাসীর হামলায় নাটোরের মাসুদ রানাসহ বাংলাদেশের ৬ শান্তিরক্ষী হন। এসময় ৮ জন শান্তিরক্ষী আহত হয়েছে।
লালপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. জুলহাস হোসেন সৌরভ বলেন, শোক-সন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা ও সহমর্মিতা জ্ঞাপন করছি। আমরা শোকাহত এবং শহীদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি।
প্রতিনিধি/এসএস