images

সারাদেশ

 বছরেও শেষ হয়নি বিদ্যালয় ভবন নির্মাণ কাজ

জেলা প্রতিনিধি

১৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৮:৪৩ পিএম

গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার ধোপাডাঙ্গা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ৪ তলা নতুন একাডেমিক ভবনের নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছিল ২০১৯ সালে, ২ কোটি ৩৮ লক্ষ টাকা ব্যয়ে। এই ভবনের কাজ মাত্র ১৮ মাসের মধ্যে শেষ করার কথা থাকলেও, দুঃখজনকভাবে, প্রায় ৬ বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানটি সেই কাজ আজও শেষ করতে পারেনি।

সম্প্রতি খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানটি সেই সময় ক্ষমতাসীন দল আওয়ামীলীগের নেতা হওয়ায় বারবার নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী দিয়ে কাজ করার চেষ্টা করে। তখন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শিরীন আক্তার শিল্পী এই অনিয়ম নিয়ে সরব হন। তিনি কয়েকবার জেলা প্রশাসকের নিকট লিখিত অভিযোগও দায়ের করেন। অভিযোগের ভিত্তিতে জেলা প্রশাসক তদন্ত করেন এবং অনিয়মের সত্যতা পান। যদিও তদন্তের পর ত্রুটিপূর্ণ কাজ পুনরায় করার নির্দেশ দেওয়া হয়, তবে ঠিকাদারের গাফিলতি ও কর্তৃপক্ষের নজরদারির অভাবে আজও সেই কাজ সম্পূর্ণ হয়নি।

স্থানীয়রা জানান, নির্ধারিত সময়ের ৬ বছর পরও স্কুল ভবনটি অসম্পূর্ণ। এর মধ্যে দেয়ালে ফাটল দেখা দিয়েছে। এর ফলে একদিকে যেমন নির্মাণ কাজের মান নিয়ে বড় প্রশ্ন উঠেছে, অন্যদিকে তেমনি চরম অনিশ্চয়তায় ও ঝুঁকিতে দিন কাটাচ্ছে শত শত শিক্ষার্থী। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কবে নাগাদ এই গুরুত্বপূর্ণ কাজটি শেষ করে শিক্ষার্থীদের জন্য ভবনটি উন্মুক্ত করবে, সেদিকেই এখন তাকিয়ে আছেন শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা।

শহিদুল ইসলাম নামের স্থানীয় এক ব্যক্তি বলেন, শিক্ষা অবকাঠামো উন্নয়নে সরকারের উদ্যোগ থাকলেও, ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ও সংশ্লিষ্ট দফতরের গাফিলতিতে কীভাবে একটি গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। বারবার শুধু এই বিদ্যালয়ের নির্মাণ কাজের অনিয়মের অভিযোগ ওঠে।

এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোছা. শিরিন আক্তার শিল্পী বলেন, বিদ্যালয়ের ভবনের কাজে ত্রুটি পেয়ে ঠিকাদারকে সংশোধনের কথা বললে ঠিকাদার ভবনের কাজ বন্ধ রেখে সময় বিলম্ব করে আসছে। বিলম্বের বিষয়ে বিভিন্ন সময় নির্বাহী প্রকৌশলী, শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর, গাইবান্ধা জেলায় পরিদর্শনের জন্য অভিযোগ করেছিলাম। অভিযোগ পেয়ে সহকারী প্রকৌশলী ও উপ-সহকারী প্রকৌশলী ভবনটি পরিদর্শন করেন এবং ত্রুটিসমূহ সংশোধনের জন্য নির্দেশ দেন। কিছুদিন কাজ করে আবারও বন্ধ করে রাখেন। এভাবে ভবনটির ৯৫ শতাংশ কাজ সম্পন্ন হলেও এখনো কাজ সমাপ্ত হয়নি।

গাইবান্ধা শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের উপ-সহকারী প্রকৌশলী (সিভিল) শাহজাহান সরকার বলেন, বিদ্যালয়ের ৪ তলা ভবনটির কাজে কিছু ত্রুটির কারণে সময় বিলম্ব হয়েছে। তবে আর অল্প কিছু কাজ অবশিষ্ট রয়েছে, যা দ্রুত সম্পন্ন করা হবে।

প্রতিনিধি/একেবি