images

সারাদেশ

ফুটপাত ও ফ্লাইওভারের নিচে অবৈধ দোকান, ঝুঁকিতে সড়ক চলাচল

জেলা প্রতিনিধি

১৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৩:৪৪ পিএম

বগুড়ায় বাজার, ইজারার আড়ালে, মহাসড়ক সংলগ্ন ফুটপাত ও ফ্লাইওভারের নিচে অবৈধ দোকান বসিয়ে প্রতিদিন ৩০ টাকা হারে চাঁদা আদায়ের অভিযোগ উঠেছে বগুড়া শহর বিএনপির এক নেতার বিরুদ্ধে। সেই নেতার নাম সায়েদুল ইসলাম সায়েদ। তিনি বগুড়া শহর বিএনপির ১৩নং ওয়ার্ড সভাপতি। বগুড়া পৌরসভা থেকে তিনমাথা রেলগেট বাজার ইজারা নিয়েছেন তিনি।

ইজারাদার সায়েদ বলেছেন, পাঁচ লাখ টাকায় বাজার ইজারা নেয়া হলেও পৌরসভা থেকে বাজারের অবস্থান চিহ্নিত করে দেওয়া হয়নি। আয়কর, ভ্যাট এবং অন্যান্য খরচ দিয়ে আমার ৬ লাখ টাকা বিনিয়োগ। বাজারের স্থান নির্ধারণ করা না থাকায়, এবং বিনিয়োগ করা টাকা তুলতে ফুটপাত এবং ফ্লাইওভারের নিচে বসা দোকান থেকে ইজারার টাকা তুলতে হয়।

ফ্লাইওভারের নিচে বসানো দোকানদার রাসেল, জালাল এবং ইদ্রিস জানান, ফুটপাত ও ফ্লাইওভারের নিচে অস্থায়ী দোকান বসানোর অনুমতি পেতে এবং ব্যবসা চালাতে প্রতিদিন ৩০ টাকা হারে চাঁদা দিতে হচ্ছে। ইজারাদারের নিয়োজিত লোকজন পৌরসভার রশিদ দিয়ে চাঁদা নিলেও সেখানে টাকার অংক লেখা থাকে না। কেউ টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে দোকান সরিয়ে দেওয়ার হুমকি, এমনকি হয়রানির অভিযোগও রয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী বলেন, “আমরা নিয়ম মেনে দোকান করতে চাই। কিন্তু প্রতিদিন নির্দিষ্ট অঙ্কের টাকা না দিলে ব্যবসা করতে দেওয়া হয় না। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, ফ্লাইওভারের নিচে দোকান বসায় যানবাহন চলাচলে বাধা সৃষ্টি হচ্ছে। সন্ধ্যার পর এলাকায় যানজট ও দুর্ঘটনার ঝুঁকি বাড়ে। 

বগুড়া পৌরসভার বাজার পরিদর্শক আব্দুল হাই বলেন, শহরের মধ্যে কিছু অস্থায়ী বাজার রয়েছে যা পৌরসভা থেকে পেরিফেরি করা হয়নি। যেখানে বাজার বসে সেই স্থানকেই বাজার হিসেবে ইজারা দেওয়া হয়েছে। তিনমাথা রেলগেট বাজার বাংলা ১৪২৩ সনের জন্য পাঁচ লাখ টাকায় ইজারা দেওয়া হয়েছে।

বগুড়া সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী আবুল মনসুর বলেন, ফুটপাত ও ফ্লাইওভারের নিচে দোকান বসানো আইনবিরোধী। সাসেক প্রকল্প থেকে এখনও মহাসড়ক আমাদের কাছে হস্তান্তর করা হয়নি। তারপরেও  এসব অবৈধ দোকান উচ্ছেদ ও আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 

হাইওয়ে পুলিশ বগুড়া রিজিয়নের অতিরিক্ত ডিআইজি মোহাম্মদ শহিদ উল্লাহ বলেন, মহাসড়কের পাশের ফুটপাত এবং ফ্লাইওভারের নিচে দোকান বাসানোর কারণে প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার আশংকা থাকে। হাইওয়ে পুলিশ এর আগেও এসব অবৈধ দোকান উচ্ছেদ করেছে। খুবশীঘ্রই আবারো উচ্ছেদ অভিযান চালানো হবে।

প্রতিনিধি/ এজে