images

সারাদেশ

হাফ ম্যারাথনে চার দেশের নাগরিকসহ তিন শতাধিক প্রতিযোগী

জেলা প্রতিনিধি

১৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৫:১৯ পিএম

ব্রাহ্মণবাড়িয়া রানার্স কমিউনিটির উদ্যোগে হাফ ম্যারাথন দৌড় প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) সকালে সীমনা-ব্রাহ্মণবাড়িয়া সড়কে এই প্রতিযোগিতাটি হয়। এতে চারটি ইভেন্টে নারী-পুরুষসহ বিভিন্ন বয়সের তিন শতাধিক দৌড়বিদ অংশ নেন।

আয়োজক ও অংশগ্রহণকারীরা জানান, সুস্থ দেহ ও সবল মনের জন্য দৌড়ের কোনো বিকল্প নেই।

শনিবার ভোরের সূর্য ওঠার আগে, কনকনে শীত উপেক্ষা করে প্রতিযোগীরা হাফ ম্যারাথন দৌড় প্রতিযোগিতায় উপস্থিত হন। হাফ ম্যারাথনে প্রতিযোগীরা ২১ কিলোমিটার, ১০ কিলোমিটার, ৫ কিলোমিটার এবং ২ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করেন।

জেলার বিজয়নগর উপজেলার চর-ইসলামপুর থেকে দৌড় শুরু হয়ে পুনরায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের শিমরাইলকান্দি তিতাস নদীর উপর নির্মিত সেতুতে থাকা ফিনিশিং পয়েন্টে এসে প্রতিযোগীরা দৌড় শেষ করেন।

ম্যারাথনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া ছাড়াও দেশের ২০টি জেলা এবং জাপান, ভারত, নেপাল ও ডেনমার্কের নাগরিকসহ নারী, পুরুষ, শিশুসহ বিভিন্ন বয়সের তিন শতাধিক প্রতিযোগী অংশ নেন।

ম্যারাথনে অংশ নেওয়া ডেনমার্ক প্রবাসী মাহফুজা বেগম বলেন, ‘আমি তো ডেনমার্কে অনেক বছর ধরে বসবাস করি, এসব দৌড় দেখি। কিন্তু আমার এলাকায় যে এত সুন্দর করে আয়োজন করেছে, এটা খুবই সুন্দর এবং খুবই আনন্দময়। এ রকম সুন্দর আয়োজন যে বাংলাদেশে করতে পারে, আজকের আয়োজন এটাই প্রমাণ করে।’ যারা শ্রম দিয়েছেন তিনি তাদের ধন্যবাদ জানান।

দৌড়ে অংশ নেওয়া শিক্ষক মোছাম্মদ ইসরাত জাহান বলেন, ‘আমি সাধারণত দৌড়াই না। সময় পাই না, চাকরি করি। কিন্তু এই ধরনের প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে আমার ভালো লাগে। আমি পরবর্তীতে প্রতিযোগিতা হলে নিয়মিত থাকার চেষ্টা করব।’

ম্যারাথনে অংশ নেওয়া মো. মনির ব্যাপারী বলেন, ‘ক্রীড়া এমন একটি জিনিস যা মানুষের মননশীল চর্চার জন্য অপরিহার্য। আজকে আমরা ক্রীড়া থেকে দূরে আছি বলেই আমাদের এখানে মাদক ও বিভিন্ন ধরনের সন্ত্রাসের ছড়াছড়ি আছে। আজকে ম্যারাথনে আমি এই বয়সেও আমাদের ছেলেদের সাথে হেঁটে-দৌড়ে অত্যন্ত আনন্দ পেয়েছি। ১০ কিলোমিটার দৌড় আমি সম্পন্ন করেছি। আশা করি, আগামী দিনে আরও ভালো করব।’

পাপ্পু বণিক নামে আরেক প্রতিযোগী বলেন, ‘রাস্তাঘাট অনেক পরিষ্কার। দৌড়াতে অনেক ভালো লেগেছে। ১০ কিলোমিটার দৌড়াতে আমার মাত্র ১ ঘণ্টা সময় লেগেছে। অভিনন্দন জানাই ব্রাহ্মণবাড়িয়া রানার্স কমিউনিটিকে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা আখাউড়া চিরসবুজ থেকে এসেছি। আমরা প্রায় ২০-২৫ জন সবাই আনন্দ করেছি।’

ম্যারাথনে অংশ নেওয়া ব্রাহ্মণবাড়িয়া হার্ট ফাউন্ডেশনের কার্ডিওলজি চিকিৎসক ডা. এম.এ মতিন বলেন, ‘নিয়মিত দৌড়ালে হৃদরোগের ঝুঁকি কমে। দেহের কোষগুলো সচল থাকে। সুস্থ থাকার জন্য দৌড়ের কোনো বিকল্প নেই।’

এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া রানার্স কমিউনিটির প্রতিষ্ঠাতা অ্যাডমিন প্রফেসর দিলারা আক্তার খান জানান, ‘সুস্থ দেহ ও সবল মনের জন্য এবং যুব সমাজকে মাদক ও মোবাইল ব্যাধি থেকে দূরে রাখার জন্যই আমাদের এই আয়োজন। সকলের সহযোগিতা পেলে আগামী দিনে আরও বড় পরিসরে এমন আয়োজন করব।’

আরও পড়ুনঃ  যে কারনে আইপিএল ছেড়ে পাকিস্তান লিগ বেছে নিচ্ছেন ক্রিকেটাররা

ম্যারাথনে চারটি ইভেন্টে জাপান, ভারত, নেপাল ও ডেনমার্কের নাগরিকসহ তিন শতাধিক প্রতিযোগী অংশ নেন। পরে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার হিসেবে মেডেল এবং ক্রেস্ট তুলে দেন অতিথিরা।

প্রতিনিধি/একেবি