জেলা প্রতিনিধি
১৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ০২:১৩ পিএম
চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার বাখেরআলী সীমান্তে গুলিতে নিহত হয় বাংলাদেশি যুবক। বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) বিজিবি ও বিএসএফের মধ্যে এ ঘটনায় একটি পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকের একদিন পর শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) রাতে সদর উপজেলার জোহরপুর-টেক সীমান্ত দিয়ে মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে।
নিহত যুবকের নাম তোশিকুর ইসলাম (৩১)। তিনি সদর উপজেলার বাখেরআলী গ্রামের বাসিন্দা ও ইব্রাহিম আলীর ছেলে। জানা গেছে, ভারতের ভাগিরথী নদী থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে ভারতের পুলিশ।
৫৩ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল কাজী মুস্তাফিজুর রহমান এবং সদর মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সুকমল চন্দ্র দেবনাথ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
জানা যায়, বিজিবি ও বিএসএফ সদস্যদের উপস্থিতিতে ভারতের পুলিশ বাংলাদেশ পুলিশের কাছে তোশিকুর ইসলামের মরদেহ হস্তান্তর করে। বাংলাদেশ পুলিশের পক্ষে পরিদর্শক সুকমল চন্দ্র দেবনাথ মরদেহ গ্রহণ করেন।
পরিদর্শক সুকমল চন্দ্র দেবনাথ জানান, নিহতের ডান কাঁধ থেকে বুকে ছররা গুলির চিহ্ন পাওয়া গেছে। মরদেহ গ্রহণের পর রাতেই পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
নিহতের বাবা ইব্রাহিম আলী বলেন, তাদের নিজস্ব গরুর পাল দেখার কথা বলে বুধবার বাড়ি থেকে বের হয় নিখোঁজ হয় তোশিকুর। শুক্রবার রাতে পুলিশ মরদেহ ফেরত দেয়।
তিনি জানান, পরে শুনেছেন বিএসএফ তার ছেলেকে গুলি করে হত্যা করেছে। বিষয়টি স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে বিজিবিকে জানানো হয়েছে।
তোশিকুরের ভাই উজির আলী বলেন, তার ভাই সীমান্ত এলাকায় গিয়েছিলেন। পরে জানতে পারেন ভারতের একটি নদীতে তার মরদেহ ভাসতে দেখা যায় এবং ভারতের জঙ্গিপুর থানার পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে।
বিজিবি সূত্র জানায়, গত বুধবার কয়েকজন সহযোগীর সঙ্গে অবৈধভাবে সীমান্ত অতিক্রম করে ভারতে প্রবেশ করেন তোশিকুর ইসলাম। পরিবারের দাবি, অবৈধ অনুপ্রবেশের অভিযোগে বিএসএফ সদস্যরা তাঁকে গুলি করে হত্যা করে মরদেহ নদীতে ফেলে দেয়। পরে ভারতের ভাগিরথী নদী থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
নিহতের পরিবারের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে বিজিবি বৃহস্পতিবার জোহরপুর সীমান্তে মরদেহ ফেরত চেয়ে বিএসএফের সঙ্গে পতাকা বৈঠক করে। এর পরদিন শুক্রবার রাতে মরদেহ হস্তান্তর করা হয়।
তবে তোশিকুর ইসলামের মৃত্যুর সুনির্দিষ্ট কারণ এবং কার গুলিতে তার মৃত্যু হয়েছে—এ বিষয়ে বিএসএফ কোনো স্পষ্ট তথ্য না দেওয়ায় বিষয়টি এখনো নিশ্চিত করতে পারেনি বিজিবি।
প্রতিনিধি/এএস