জেলা প্রতিনিধি
০৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৩:৪৮ পিএম
বগুড়ায় ২৩ বছর পালিয়ে থাকা ধর্ষণ মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি হাফিজুর রহমান (৫৫) অবশেষে পুলিশের হাতে ধরা পড়েছেন।
তিনি গাবতলী উপজেলার পদ্মপাড়া গ্রামের মৃত আফজাল হোসেনের ছেলে।
রোববার (৮ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে বগুড়া শহরতলির শাকপালা মোড় থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
বগুড়া জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আতোয়ার হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ছিলিমপুর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক লাল মিয়ার নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল তাকে গ্রেফতার করে গাবতলী থানায় হস্তান্তর করেছেন।
পুলিশ পরিদর্শক লাল মিয়া জানান, রংপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এ দায়ের হওয়া অপহরণ করে ধর্ষণ মামলায় ২০০২ সালে তাকে যাবজ্জীবন সাজা দেন আদালত। আসামি পলাতক থাকায় গ্রেফতারি পরোয়ানাও জারি করা হয়। কিন্তু আদালতে আত্মসমর্পণ না করে তিনি দেশের বিভিন্ন জায়গায় ছদ্মবেশে ঘুরে বেড়াতেন। তিনি বেশ কয়েক বছর ধরে শাজাহানপুর উপজেলার ডোমনপুকুর গুচ্ছ গ্রামে স্ত্রী- সন্তান নিয়ে বসবাস করতেন এবং শহরতলির শাকপালায় ভাংড়ি ব্যবসা করতেন।
পুলিশ জানায়, ১৯৯৭ সালে রংপুরের এক তরুণীকে নিয়ে পালিয়ে বিয়ে করেন হাফিজুর। এ ঘটনার পর তরুণীর বাবা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে অপহরণ করে ধর্ষণের অভিযোগ মামলা করেন। কিছুদিন পর হাফিজুর ওই তরুণীকে তালাক দিয়ে নিজের এলাকায় আরেকটি বিয়ে করে এলাকা ছাড়েন। গ্রেফতারের পর হাফিজুর পুলিশকে জানায়, রায় ঘোষণার পর তিনি বেশ কয়েক বছর ঢাকা এবং চট্টগ্রামে রিকশা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করেছেন। কয়েক বছর আগে বগুড়ায় ফিরে গুচ্ছ গ্রামে ঘর নিয়ে বসবাস শুরু করে ভাংড়ি ব্যবসা করতেন।
প্রতিনিধি/এসএস