জেলা প্রতিনিধি
০৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৯:১০ পিএম
নড়াইলের লোহাগড়া মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের চাকরিচ্যুত সাবেক প্রধান শিক্ষক আবদুর রহিম খানের (৫৮) বিরুদ্ধে দুই লাখ টাকার চাঁদাবাজির মামলা করেছেন লোহাগড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. আবু রিয়াদ।
বুধবার (৩ ডিসেম্বর) রাতে তিনি নিজে বাদী হয়ে আবদুর রহিম খানসহ অজ্ঞাত ৩-৪ জনকে আসামি করে লোহাগড়া থানায় মামলা দায়ের করেন।
লোহাগড়া থানা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) অজিত কুমার রায় মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
অভিযুক্ত আবদুর রহিম খান মল্লিকপুর ইউনিয়নের আতোষপাড়া গ্রামের মৃত মঞ্জেল খানের ছেলে। ২০২৪ সালের শুরুর দিকে লোহাগড়া মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের নানা অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগে তিনি চাকরিচ্যুত হন।
এর আগে বুধবার (৩ ডিসেম্বর) সকালে ইউএনওর নির্দেশে পুলিশ আবদুর রহিম খানকে আতোষপাড়া তার গ্রামের বাড়ি থেকে আটক করে ইউএনওর কার্যালয়ে নিয়ে আসে। এ সময় উপজেলার বিভিন্ন মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক, সুধীজন ও গণমাধ্যমকর্মীদের উপস্থিতিতে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। পরে পুলিশ তাকে থানায় নিয়ে যায়। এরপর ইউএনওর করা চাঁদাবাজি মামলায় পুলিশ তাকে গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে পাঠায়।
ঢাকা মেইলের হাতে আসা মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, গত ১ ডিসেম্বর লোহাগড়া উপজেলার ইউএনও আবু রিয়াদ অফিস শেষে ডাক বাংলোয় যাওয়ার পথে আবদুর রহিম অজ্ঞাতনামা ৩-৪ জনকে নিয়ে ইউএনওর গাড়ির গতিরোধ করেন। এ সময় তারা ২ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে। ইউএনও চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে এবং কথা-কাটাকাটির একপর্যায়ে পথচারীরা এগিয়ে আসলে আসামিরা প্রাণনাশের হুমকি-ধামকি দিয়ে এলাকা ত্যাগ করে।
এজাহারে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, আসামি আবদুর রহিম খান ইউএনও'র ব্যবহৃত মোবাইল নম্বরে বিভিন্ন সময়ে কুরুচিপূর্ণ মেসেজ ও টাকা চেয়ে এবং ‘সাড়ে হারামজাদা’ নামে অশ্লীল ও কুরুচিপূর্ণ কবিতা প্রেরণ করেছেন এবং তা বিভিন্ন প্রচার মাধ্যমে প্রকাশ করে ইউএনও'র সম্মানহানি করা হয়েছে। ইউএনও অফিসের আমানত হোসেন ও শরিফুল ইসলামকে এ মামলার সাক্ষী করা হয়েছে।
লোহাগড়া থানা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) অজিত কুমার রায় বলেন, আটক আবদুর রহিম খানকে বুধবার রাতে ইউএনও সাহেবের করা মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) আদালতে পাঠানো হয়েছে।
প্রতিনিধি/একেবি