জেলা প্রতিনিধি
১৪ নভেম্বর ২০২৫, ০৭:৩৫ পিএম
বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি বলেছেন, ‘একটা বড় রাজনৈতিক দলের নেত্রী শেখ হাসিনাকে পালিয়ে যেতে হবে কেন। কারণ, তিনি তো ভালো কাজ করেননি। দুর্নীতি, দুর্বৃত্তায়ন ও দুঃশাসন কায়েম করেছিলেন। ওই যে মুজিব বাহিনী, লাল বাহিনী, রক্ষী বাহিনীর স্টাইলে কাজগুলো করে মানুষকে শান্তি দেয়নি হাসিনা। মানুষের ওপর অত্যাচার-নির্যাতন করেছে। মানুষের ওপর হামলা করেছে, মানুষকে গুম-খুন করেছে। লুটপাট করেছে, হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছে। যার কারণে হাসিনা গণশত্রু, গ্রামের শত্রু এবং দেশের শত্রুতে পরিণত হয়েছে।’
শুক্রবার (১৪ নভেম্বর) দুপুরে লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার বাঙ্গাখাঁ ইউনিয়নের গৌরিনগর আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে নারী ভোটারদের নিয়ে আয়োজিত উঠান বৈঠকে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: ফ্যাসিবাদবিরোধী কর্মসূচিতে যাওয়ার পথে বিএনপি নেতার মৃত্যু
শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি বলেন, ‘আগে বলেছে হাসিনা পালায় না, পরে পালিয়ে গেছেন। আওয়ামী লীগের সবাই পালিয়ে যায়নি। হাসিনা শুধু তার আত্মীয়-স্বজনকে আগেই পার করে দিয়েছে। হাসিনা আত্মীয়-স্বজন সবাইকে এমপি-মন্ত্রী বানিয়েছে। তাদের টাকার বস্তা নিয়ে হাসিনা আগেই ভাগিয়ে দিয়েছে। আওয়ামী লীগের অনেকে পালাতে পারেনি, অনেকে জেলে গেছে। তারা এখনও দেশের বাইরে বসে ষড়যন্ত্র করছে।’
আরও পড়ুন: ‘মুক্তিযুদ্ধের বিরোধীতাকারীরা নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র করছে’
তিনি বলেন, ‘হাসিনার বিচার শুরু হওয়ায় একটা লকডাউন দিয়েছে আওয়ামী লীগ। ১৭ নভেম্বর বিচারের রায় দেবে। লকডাউন দিয়েছে, কিন্তু তাদের কর্মসূচিতে পাবলিক নেই। পাবলিক তো তার পক্ষে নেই, পাবলিক লকডাউন করতে নামেওনি। আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই) দিয়ে দেখাচ্ছে যে তার লকডাউনে মিছিল হচ্ছে। আসলে এটি এআই ছিল, এটা প্রকৃত না, বাস্তব না, এটা ভুয়া। তবে কিছু চোরাগোপ্তা হামলা করছে, এটা সত্য। গাড়িতে আগুন দিচ্ছে, আর না হলে পেট্রোল বোম মারছে। এক সময় হাসিনা বলেছিল, যারা গাড়িতে বা বাসে আগুন দিবে, তাদের ধরে ধরে ওই আগুনে ফেলে দিবে। এখন কী করা দরকার- উত্তরে নারীরা বলে উঠেছেন- ‘তাকে (হাসিনা) এনে আগুনে ফেলে দিতে’। এসব হাসিনার অপকর্ম। এই হলো বিদেশে বসে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র। এগুলো থাকবে। এসব যুদ্ধ মোকাবিলা করেই বাংলাদেশ এগিয়ে চলছে।’
এ সময় উপস্থিত ছিলেন - জেলা বিএনপির যুগ্ম-আহ্বায়ক হাসিবুর রহমান, বাফুফের সহ-সভাপতি ওয়াহিদ উদ্দিন চৌধুরী হ্যাপি, জেলা বিএনপির সদস্য হাফিজুর রহমান নিজাম উদ্দিন ভূঁইয়া, আবুল হাশেম, জেলা মহিলা দলের সভাপতি সাবেরা আনোয়ার ও সাধারণ সম্পাদক ফাতেমা আক্তার সুমি ভূঁইয়া প্রমুখ।
প্রতিনিধি/ এমইউ