জেলা প্রতিনিধি
০৪ জুলাই ২০২২, ০৬:২৭ পিএম
ক্রেতাদের কাছে আকর্ষণীয় করতে বড় আকারের গরুগুলোকে ‘বস’, ‘রাজাবাবু’, ‘টাইগারবাবু’সহ নানা ধরনের নাম দিয়ে থাকেন খামারিরা। এরই ধারাবাহিকতায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার লাউরফতেহপুর ইউনিয়নের হাজীপুর গ্রামের খামারি ইউনুস মিয়া নিজের লালন-পালন করা একটি গরুর নাম রেখেছেন ‘জায়েদ খান’। ষাঁড় গরুটির ওজন ৬০০ কেজিরও বেশি।
সোমবার (৪ জুলাই) নবীনগর উপজেলার আহাম্মদপুর কোরবানির পশুর হাটে বিক্রির জন্য তোলা হয়েছে জায়েদ খানকে।
প্রাথমিকভাবে গরুটির দাম হাঁকা হচ্ছে তিন লাখ টাকা। তবে সোমবার বিকেল পর্যন্ত ‘জায়েদ খানের’ দাম উঠেছে এক লাখ ৮০ হাজার টাকা।
খামারি ইউনুস মিয়া ঢাকা মেইলকে জানান, এবার কোরবানির পশুর হাটে তোলার জন্য তার খামারে ২০টিরও বেশি গরু লালন-পালন করেছেন তিনি। এরমধ্যে খামারের বড় গরুগুলোকে ক্রেতাদের কাছে আকর্ষণীয় করে তুলতে বিভিন্ন নাম দেওয়া হয়েছে। ‘জায়েদ খানে’র নামও আকর্ষণীয় করে তুলতেই দিয়েছেন বলেও জানান ইউনুস মিয়া।
এদিকে, বাংলা চলচ্চিত্রের আলোচিত-সমালোচিত অভিনেতা জায়েদ খানের নামের ওই গরুটি একপলক দেখতে হাটে ভিড় করছেন উৎসুক জনতা।
উল্লেখ্য, পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় এবার ৮০টির মতো কোরবানির পশুর হাট বসবে। এসব হাটে অন্তত ৭০০ কোটি টাকার পশু বেচাকেনা হবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা। আর এবার জেলাজুড়ে কোরবানির জন্য পশুর চাহিদা আছে এক লাখ ৭০ হাজারেরও বেশি।
/আইএইচ