জেলা প্রতিনিধি
০২ জুলাই ২০২২, ০৮:০৩ পিএম
ঈদুল আজহা উপলক্ষে মাদারীপুরে তিন হাজার ১৩০টি খামারে ২০ হাজারের বেশি ষাঁড়-গরু বিক্রির জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে। গরু লালনপালন করে ব্যস্ত সময় পার করছেন খামারিরা। ভালো দাম পেলে লাভের মুখ দেখবেন এই আশা তাদের।
মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলার শাখারপাড় গ্রামের তাছিয়া বেগম ও হাফিজুর রহমান শেখ দম্পতি ৯টি ষাঁড় গরু নিয়ে গড়ে তুলেছেন নুসাইবা ডেইরি ফার্ম নামে ছোট্ট একটি খামার। তার এই খামারে বেড়ে উঠছে একটি ষাঁড় গরু। তার নাম দেওয়া হয়েছে 'সুপার স্টার'।
৬ ফুট উচ্চতা, ১০ ফুট লম্বা ও ৩২ মন ওজনের বৃহৎ আকৃতির এই সুপার স্টারের দাম হাঁকানো হচ্ছে ১২ লাখ টাকা। প্রতিদিন এই সুপারস্টারকে দেখতে ক্রেতা ও দর্শনার্থীরা ভিড় জমাচ্ছেন তাছিয়া বেগমের খামারে।
তাছিয়া বেগম জানায়, গত ৪ বছর আগে কুষ্টিয়ার হাট থেকে দেড় লাখ টাকায় কিনে আনেন এই সুপার স্টার ষাঁড়টিকে। গত ৪ বছর ধরে লালনপালনের মাধ্যমে এই ষাঁড় গরুটিকে প্রস্তুত করেন কোরবানি ঈদের জন্য।
খামারি হাফিজুর রহমান শেখ বলেন, ২০১৭ সালের জানুয়ারিতে কৃষি ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে আমি আর আমার স্ত্রী শুরু করি এই খামারটি। তবে করোনার কারণে গেলো দুই বছর বিক্রি করতে পারিনি। এ বছর যদি একই অবস্থা হয় তাহলে খুব সমস্যার মধ্যে পড়ে যাবো। আমাদের খামারের এই সেরা আকর্ষণ সুপার স্টার ষাঁড়টি বিক্রি করতে লাভের মুখ দেখতে পারব।
পারুল বেগম বলেন, আমার এই সুপারস্টারের প্রতিদিন ১৮ কেজি খাবারের পেছনে খরচ হয় পনের শ থেকে দুই হাজার টাকা। সুপারস্টার ঘাস, খইল, ভুষির পাশাপাশি আপেল, কমলা, কাঁঠাল, পেঁপে, তরমুজ খায়। অনেক গরু ব্যবসায়ীরা এসে সুপারস্টারকে দেখে ৮ লাখ টাকার মতো দাম বলেছেন। আমরা আশা করছি ১২ লাখ টাকার মতো বিক্রি করতে পারবো।
মাদারীপুর জেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, কোরবানিকে সামনে রেখে দেশীয় পদ্ধতিতে গরু মোটাতাজাকরণ ও রোগবালাই প্রতিরোধে ২৪টি মেডিকেলে টিম মাঠে কাজ করছে।
করোনার ধাক্কায় দুইবছর লোকসান হলেও এবারের কোরবানির ঈদে খামারিদের ক্ষতি পুষিয়ে নেওয়ার জন্য ভারত থেকে গরু আমদানি বন্ধের সুপারিশ করা হয়েছে।
প্রতিনিধি/এইচই