জেলা প্রতিনিধি
২৯ জুন ২০২২, ০৫:৫২ পিএম
সৌমিক আহমেদ সাগর। যশোরে একটি স্থানীয় হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজের প্রভাষক। শখের বসে তিনি গরু পালন করেন। তার একটি ফ্রিজিয়ান জাতের গরু আছে। আদর করে তার নাম রেখেছেন ‘কালা পাহাড়’।
অনুমান করা হচ্ছে, জেলার সবচেয়ে বড় কোরবানির পশু এটি। সদর উপজেলার মাহিদিয়া গ্রামে এ গরুটি রয়েছে নিজ এ এলাকায়। প্রতিদিন এই কালা পাহাড়কে দেখতে বিভিন্ন জেলা ও থেকে লোকজন ভিড় করে তার বাড়িতে।
সৌমিক আহমেদ সাগর বলেন, কোরবানির ঈদের জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে ২২০০ কেজি (৫৫ মণ) ওজনের ‘কালা পাহাড়’কে। ৩ বছর ধরে এই গরুকে লালনপালন করছি। প্রতি দিন খাদ্য তালিকায় তার রয়েছে ১৬-১৭ কেজি পালিশ (পালিশ হলো, ধান, চাল, গম, ছোলা, কেওড়া, খেসারি, মসুর ডাল, সয়াবিন, সরিষা, তুলাবীজ, নারিকেলের খৈল, কালিজিরাসহ ১৪ রকম খাবার), বিচলি ও কাঁচা ঘাস।
তিনি আরও বলেন, জেলার নওয়াপাড়া থেকে ৬৫ হাজার টাকা দিয়ে এই ফ্রিজিয়ান জাতের গরুটা ক্রয় করি। ৩ বছর যাবত নিজের সন্তানের মতো করে লালনপালন করেছি। কোরবানি ঈদে গরুটি দাম নির্ধারণ করেছি ৩০ লাখ টাকা। তবে এখন পর্যন্ত কালা পাহাড়ে দাম উঠেছে ২০ লাখ টাকা।
গত ১৪ মে যশোর সদর উপজেলা প্রাণিসম্পদ অধিদফতরে পশু প্রদর্শনীর আয়োজনে করে। ওই প্রদর্শনীতে খুলনা বিভাগের কালা পাহার প্রথম স্থান অর্জন করে।
যশোর শহর থেকে গরু দেখতে আসেন শিমুল, বাপ্পি, জাফর। তারা বলেন, এতো বড় গরু আগে কখন দেখিনি। অনেক শান্ত এই গরুটি। তবে এমন উদ্যোক্তা হলে বেকার যুবকদের আর চাকরি নামক সোনার হরিণে পিছনে ছুটতে হবে না।
যশোর সদর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা শফিউল আলম ঢাকামেইলকে বলেন, নিসন্দেহে সৌমিক আহমেদ সাগর’র পালিত ‘কালা পাহাড়’ যশোর জেলা মধ্যে সব চেয়ে বড় গরু। তবে খুলনা বিভাগের মধ্যে প্রথম পাঁচটা গরুর মধ্যে কালা পাহাড় থাকবে। ফ্রিজিয়ান জাতের গরুটি খাবার তালিকায় আছে ধান, চাল, গম, ছোলা, কেওড়া, খেসারি, মসুর ডাল, সয়াবিন, সরিষা, তুলাবীজ, নারিকেলের খৈল, কালিজিরাসহ ১৪ রকম খাবার মিশ্রিত পালিশ।
প্রতিনিধি/এইচই