images

সারাদেশ

কুড়িগ্রামে আবারও বন্যার আশঙ্কা, তিস্তার পানি বিপৎসীমার ওপরে

জেলা প্রতিনিধি

২৯ জুন ২০২২, ০৫:১৫ পিএম

কয়েকদিন ধরে কুড়িগ্রামের বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হলেও আবারও বাড়তে শুরু করেছে ব্রহ্মপুত্র, দুধকুমার, ধরলা, তিস্তাসহ সবকটি নদ-নদীর পানি। ফলে নদনদীতে পানি বৃদ্ধি পেয়ে বন্যার পরিস্থিতির আশঙ্কায় আছেন বানভাসি মানুষেরা। 

টানা ১২ দিন পানিবন্দি থেকে যখন আশ্রয়ের জন্য ঘরবাড়ি মেরামতের কাজ শুরু করছে, সেই মুহূর্তে বন্যা পরিস্থিতির আশঙ্কায় বিচলিত হয়ে পড়েছেন চরাঞ্চলবাসী। এছাড়া কৃষি ও মৎস্য খাতে অপরিসীম ক্ষতির মুখে পড়া কৃষকদের চোখে বন্যার জল দারুণভাবে শঙ্কিত করেছে বলে জানিয়েছে স্থানীয়রা।
তবে বন্যার পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র বলছে, উজানে ভারী বৃষ্টিপাতের ফলে তিস্তা অববাহিকার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা থাকলেও অন্যান্য নদ-নদী অববাহিকায় বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টির পূর্বাভাস নেই।

পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, গতকাল থেকে টানা বৃষ্টির ফলে উজানের ঢলে কুড়িগ্রামের ধরলা নদীর শিমুল বাড়ি পয়েন্টে ৪২ সেমি পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ২৩ সেমি ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তিস্তা নদীর ২ সেমি ও অনান্য নদ-নদীর পানি বিপৎসীমার নিচে থাকলেও পানি বৃদ্ধি চলমান রয়েছে বলে জানিয়েছেন কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ড।

চর আরাজী কদমতলার মইনুল হোসেন বলেন, কিছুদিন আগে বন্যার কবলে পড়ে আমার ঘরবাড়ি ও পটলের ক্ষেতের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। পটলের খেত ভেঙে বীজ তলা করেছি সেটিও বুঝি আর থাকবে না।যে হারে ধরলার পানি বাড়ছে। গত বন্যার চেয়ে বড় ধরনের বন্যা হতে পারে।

যাত্রাপুর ইউনিয়নের আলী আকবর হোসেন বলেন, দুই সপ্তাহ ধরে পানিবন্দি থেকে একটু রক্ষা পেলাম। আবারও নদনদীর পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। আমাদের এবার যে কি হবে আল্লাহ জানে।

কুড়িগ্রাম কৃষি অধিদপ্তর সুত্রে জানা যায়, গত বন্যায় ৮০ হাজার কৃষকের প্রায় ১২৭ কোটি টাকা ক্ষতি হয়েছে। এছাড়া ১৫ শ পুকুর তলিয়ে প্রায় ২ কোটি ১৫ লাখ টাকার মৎস্য সেক্টরের ক্ষতি নিরূপন করেছে মৎস্য অধিদফতর কুড়িগ্রাম। 

জেলা প্রশাসক মো. রেজাউল করিম বলেন, বন্যা কবলিত মানুষের জন্য যথেষ্ট ত্রাণ ব্যবস্থা রয়েছে। বানভাসি মানুষের প্রতি সরকারের সুদৃষ্টি রয়েছে। 

প্রতিনিধি/এইচই