জেলা প্রতিনিধি
২৮ জুন ২০২২, ০৬:২০ পিএম
দুয়ারে কড়া নাড়ছে ধর্মীয় উৎসব ঈদুল আজহা বা কোরবানির ঈদ। আর প্রতি বছরই এ ঈদের আগে বাহারি নামের গরু ওজন এবং দামে আলোচনায় উঠে আসে। এবার সেই তালিকায় ঠাঁই পেয়েছে শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার ‘ময়না’।
নেপালি জাতের ৮০০ কেজি (২০ মণ) ওজনের ময়না ও শাহি ওয়াল জাতের ৪৪০ কেজি ওজনের রবিসহ চারটি ষাঁড় গরু লালন-পালন করছেন সীমান্তবর্তী পোড়াগাঁও ইউনিয়নের বুরুঙ্গা মধ্যপাড়া গ্রামের খামারি আব্দুস সালাম।
খামারি আব্দুস সালাম ঢাকা মেইলকে বলেন, ময়না-রবি ছাড়াও কোরবানির জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে আরও দুটি ষাঁড়। তবে সবগুলোর মধ্যে আকর্ষণীয় হচ্ছে ৮০০ কেজি ওজনের ময়না। আমার নিজের পরিশ্রম ছাড়াও এক ময়নার পেছনে খরচ হয়েছে প্রায় তিন লাখ টাকা। এখন ময়নাকে কমপক্ষে পাঁচ লাখ টাকা বিক্রি করতে না পারলে আমার পথে বসতে হবে।
খামারি জানান, গত দুই বছরে পরিমাণ মতো কাঁচা ঘাস, ছোলা, ডাল, ভুট্টা, সাবুদানা ও খড় খাইয়ে পারিবারিক আদলে সন্তানের মতো লালন পালন করেছেন তিনি। প্রতিদিন নিয়ম করে গোসল করানো হয়। নিয়মিত ডাক্তারও দেখানো হয়। পরিবারের অন্য সদস্যরাও ব্যস্ত থাকেন ষাঁড়গুলো লালন পালনে।
কৃষক নেতা সোলায়মান মিয়া ঢাকা মেইলকে বলেন, গত দুই বছর করোনাভাইরাসের কারণে চরম লোকসান গুনতে হয়েছে জেলার খামারিদের। এবারের কোরবানিতে সেই লোকসান কিছুটা হলেও পুষিয়ে নিতে চান তারা।
নালিতাবাড়ী উপজেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয় থেকে জানা যায়, ঈদুল আজহা উপলক্ষে কোরবানির চাহিদা মেটাতে মোট নয় হাজার ৮৮৭টি পশুর বিপরীতে ১০ হাজার ৩৮৯টি পশু প্রস্তুত আছে। খামারিরা বলছেন, হঠাৎ করে পশু খাদ্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় এসব পশুর উৎপাদন খরচ পড়েছে বেশি। তাই ন্যায্যমূল্য পাওয়ার আশঙ্কা করছেন তারা।
নালিতাবাড়ী উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মতিউর রহমান ঢাকা মেইলকে জানান, কোরবানির পশু সরবরাহকারী খামারিদের উপজেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয় থেকে সবধরনের সহযোগিতা দিতে প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে।
জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মুস্তাফিজুর রহমান ঢাকা মেইলকে বলেন, ক্রেতাদের চাহিদা এবং সুবিধার কথা চিন্তা করে এবারও হাটের পাশাপাশি অনলাইনে গরু কেনাবেচার মাধ্যম রাখার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। হাটগুলোতে থাকবে প্রাণিসম্পদের মেডিকেল টিম।
প্রতিনিধি/জেবি