জেলা প্রতিনিধি
২২ আগস্ট ২০২৫, ১০:১৩ পিএম
গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর বলেছেন, আওয়ামী লীগ একটি অচল মাল। এদেশে আর তাদের ফিরে আসার আর কোনো সুযোগ নেই।
তিনি বলেছেন, দেশে বিগত ৫০ বছর ধরে কালো টাকার রাজনীতি চলেছে। এই ধারা বন্ধ করে বাংলাদেশের উন্নয়নের জন্য নির্বাচনী খেলা বন্ধ করতে হবে।
শুক্রবার (২২ আগস্ট) বিকেলে যশোর জেলা গণ অধিকার পরিষদ আয়োজিত এক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে নুরুল হক নুর এসব কথা বলেন।
১৮-এর কোটা সংস্কার থেকে শুরু করে ২৪-এর রাষ্ট্র সংস্কার এবং নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণের আকাঙ্ক্ষায় শহরের মুন্সি মেহেরুল্লাহ ময়দানে এই গণসমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
নুর বলেন, বিশ্ববাজারে পণ্যের দাম কমলেও বাংলাদেশে না কমার পেছনে পূর্ববর্তী সরকারের মতোই বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের দুর্নীতি, দুর্বৃত্তায়ন এবং ক্ষমতার লোভই দায়ী।
তিনি বলেন, যারা এখনও ক্ষমতার দাপট দেখাচ্ছেন, তাদের উচিত পতিত স্বৈরাচারদের দিকে তাকানো। দীর্ঘদিন ধরে লুটপাটকারীরা রাজনীতিকে জমিদারি প্রথা বানিয়ে রেখেছিল, কিন্তু এই দেশে আর লুটপাটের রাজনীতি চলবে না।
তিনি আরও বলেন, পুরাতন ব্যবস্থা দিয়ে নতুন রাষ্ট্র গঠন সম্ভব নয়, তাই নির্বাচনের আগেই রাষ্ট্র সংস্কার জরুরি। রাষ্ট্র পুনর্গঠন না করে কোনো নির্বাচনে হবে না।
নুর অভিযোগ করে বলেন, গত ১৬ বছর ধরে শেখ হাসিনা একা দেশ শাসন করেছেন, কিন্তু শেষ বেলায় দুপুরের ভাতও খেতে পারেননি।
তিনি বলেন, দিল্লির মাল দিল্লি চলে গেছে, যারা এখনও আস্ফালন দেখাচ্ছেন, দেশের সাধারণ মানুষ তাদের প্রতিহত করবে। তিনি আওয়ামী লীগকে একটি ‘গণহত্যাকারী রাজনৈতিক দল’ আখ্যা দিয়ে বলেন, এই দল আর গ্রহণযোগ্য নয়।
সমাবেশে গণ অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদ খান বলেন, আওয়ামী লীগ একতরফা ইতিহাস তৈরি করেছিল এবং এখনকার অন্তর্বর্তীকালীন সরকারও একই কাজ করছে।
তিনি বলেন, একটি বিশেষ দলকে সুবিধা দেওয়ার জন্য ‘জুলাই ঘোষণাপত্র’ প্রকাশ করা হয়েছে। জনগণের দাবি রাষ্ট্র সংস্কার এবং একটি বৈধ নির্বাচন, তবে নির্বাচন সংস্কার না হলে আবারও ‘আওয়ামী ফ্যাসিবাদ’ ফিরে আসবে।
সমাবেশে জেলা কমিটির সভাপতি বিএম আশিকুর রহমানের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য দেন- গণ অধিকার পরিষদের সিনিয়র সহ-সভাপতি ফারুক হাসান, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাসান আল মামুন এবং খুলনা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আশিক ইকবাল।
সমাবেশ পরিচালনা করেন যশোর জেলা শাখার অর্থ সম্পাদক রাশিদুর রহমান নিউটন।
প্রতিনিধি/এসএস