জেলা প্রতিনিধি
০৪ আগস্ট ২০২৫, ০৬:৪৪ পিএম
বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো স্ক্যানার মেশিন বসানো হলো কক্সবাজার রেল স্টেশনে।
সোমবার (৪ আগস্ট) সকালে যুক্তরাষ্ট্রের ‘অ্যাস্ট্রোফিজিক্স’ ব্র্যান্ডের স্ক্যানার মেশিনটি বসানো হয় কক্সবাজার আইকনিক রেল স্টেশনে।
কক্সবাজার আইকনিক রেল স্টেশনের স্টেশন মাস্টার মোহাম্মদ গোলাম রব্বানী জানান, রেলস্টেশনে লাগেজ স্ক্যানিং চালু হওয়ায় ট্রেনভিত্তিক অপরাধ রোধ, মাদক ও অবৈধ পণ্যের প্রবাহ ঠেকানো সহজ হবে।
তিনি বলেন, ‘কক্সবাজার থেকে মাদক ও চোরাচালান বেড়েছে, যা প্রতিনিয়ত বাড়ছে। তাই যাত্রীসেবা নিশ্চিত করার জন্য লাগেজ স্ক্যানিং মেশিন বসানো হয়েছে। তবে যাত্রীদের কিছু বিষয় খেয়াল রাখতে হবে যাতে দুর্ভোগের শিকার না হন। এক্ষেত্রে ট্রেন ছাড়ার অন্তত আধা ঘণ্টা আগেই যাত্রীদের স্টেশনে প্রবেশ করতে হবে।’
সোমবার প্রথম দিনেই দেখা গেছে, মূল স্টেশনের প্রবেশমুখে ট্রেনে ওঠার আগে যাত্রীদের ব্যাগ স্ক্যানার মেশিনে রাখতে হচ্ছে। রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ ও নিরাপত্তা বাহিনী যৌথভাবে এই স্ক্যানিং কার্যক্রম পরিচালনা করছে। স্ক্যানিংয়ের সময় কোনো সন্দেহজনক বস্তু শনাক্ত হলেই সঙ্গে সঙ্গে ব্যাগ খুলে তা পরীক্ষা করা হচ্ছে।
স্টেশন মাস্টার আরও বলেন, ‘এই মেশিনে ওষুধজাত দ্রব্য থেকে শুরু করে যেকোনো আগ্নেয়াস্ত্র, মাদক ও চোরাই পণ্য শনাক্ত করা যাবে। মেশিনে নির্দিষ্ট কিছু বস্তুর উপর শনাক্তকরণ চিহ্ন রয়েছে। শনাক্ত হওয়া ব্যাগগুলোই কেবল তল্লাশি করা হচ্ছে। তবে যাত্রীদের যেন কোনো বিড়ম্বনায় না পড়তে হয়, সে দিকটাও আমরা খেয়াল রাখছি।’
এক যাত্রী, শফিকুল বারী বলেন, ‘এটা অবশ্যই একটি ভালো উদ্যোগ। তবে যেন অহেতুক হয়রানি না হয়, সেটাও দেখতে হবে। নতুন এই ব্যবস্থা যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে।’
উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের ১ ডিসেম্বর থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল শুরু হয়। বর্তমানে কক্সবাজার-ঢাকা রুটে ‘কক্সবাজার এক্সপ্রেস’ ও ‘পর্যটক এক্সপ্রেস’ এবং কক্সবাজার-চট্টগ্রাম রুটে ‘সৈকত এক্সপ্রেস’ ও ‘প্রবাল এক্সপ্রেস’ ট্রেন চলাচল করছে।
প্রতিনিধি/একেবি