জেলা প্রতিনিধি
০২ আগস্ট ২০২৫, ১২:৩৭ এএম
নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলায় সৈয়দ মাসুম বিল্লাহ (২০) নামে এক যুবকের রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। তবে পরিবারের দাবি এটি পরিকল্পিত হত্যা। যদিও স্থানীয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন এটি সড়ক দুর্ঘটনা।
শুক্রবার (১ আগস্ট) বেলা সাড়ে ১১টায় গোপালগঞ্জ ও নড়াইল সীমান্তবর্তী কাশিয়ানী এলাকার মধুমতি সেতু থেকে অচেতন অবস্থায় এক ইজিবাইক চালক মাসুমকে উদ্ধার করে লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। পরে ঢাকা নেওয়ার প্রস্তুতিকালে বেলা ২টার দিকে তার মৃত্যু হয়।
সৈয়দ মাসুম বিল্লাহ লোহাগড়া উপজেলার শালনগর ইউনিয়নের মাকড়াইল গ্রামের মৃত সৈয়দ রকিবুল ইসলাম এর ছেলে। তিনি জাহাজ এ কর্মরত ছিলেন।
মাসুমের স্বজনরা জানান, লোহাগড়া উপজেলার লাহুড়িয়া ইউনিয়নের সরশুনা গ্রামের শিমুল সরদারের মেয়ে সাথী খাতুনের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিলো মাসুমের। কিন্তু হঠাৎ সাথীর অন্যত্র বিয়ের খবর শুনে মাসুম ঢাকায় কর্মস্থল থেকে বাড়ির উদ্দেশে রওনা হন। শুক্রবার সকালে লোহাগড়ার একটি বিউটি পার্লারে তারা দেখা করেন। সেখানে সাথীর পরিবারের সদস্যরা মাসুমের উপস্থিতি মেনে নিতে না পেরে তাকে হুমকি দেন বলে অভিযোগ মাসুমের পরিবারের। এরপর বেলা সাড়ে ১১টায় গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে মধুমতি সেতুতে অচেতন অবস্থায় পাওয়া যায়। সেখান থেকে এক ইজিবাইক চালক তাকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকার নেওয়ার প্রস্তুতিকালে বেলা ২টার দিকে তিনি মারা যান।
মৃত্যুর খবর পেয়ে লোহাগড়া থানা পুলিশ মরদেহটি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। শুক্রবার রাতে পুলিশ মরদেহটির সুরতহাল রিপোর্ট প্রস্তুত করে তা ময়নাতদন্তে পাঠায়।
মৃত মাসুমের পরিবারের দাবি, এটি কোনো দুর্ঘটনা নয়, বরং সাথীর পরিবারের সদস্যরাই মাসুমকে হত্যার পরিকল্পনা করে তাকে মেরে ফেলেছে।
এ ঘটনায় অভিযুক্ত মাসুমের প্রেমিকা সাথী খাতুন বা তার পরিবারের সদস্য কারো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে লোহাগড়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শরিফুল ইসলাম শুক্রবার রাতে বলেন, আমরা মাসুম বিল্লাহকে মৃত অবস্থায় লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে থানায় নিয়ে আসি। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, তিনি দুর্ঘটনায় নিহত হন। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য নড়াইল জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর আসল কারণ জানা যাবে। এ ঘটনায় যথাযথ আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
প্রতিনিধি/জেবি