জেলা প্রতিনিধি
৩১ জুলাই ২০২৫, ০৭:১২ পিএম
দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ আবদুল মোমেন বলেছেন, দুদকের বেশি কাজ হওয়া উচিত ভবিষ্যতে যাতে দুর্নীতি না হয়। দুর্ভাগ্যবশত আগে কী দুর্নীতি হয়েছে সেটা নিয়ে আমরা শতভাগ সময় প্রায় কাটিয়ে দিই। কারো পক্ষে ঝুঁকে পড়া আমাদের জন্য ভালো হবে না। আমাদের কাজ হচ্ছে নিরপেক্ষ সেবা প্রদান করা; আমরা সেই সেবা প্রদান করে যাব।
বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) বরিশাল সার্কিট হাউজে বিভাগীয় পর্যায়ে সরকারি-স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের নিয়ে দুর্নীতি ও হয়রানি মুক্ত নাগরিক সেবা এবং সেবার মানোন্নয়নে করণীয় শীর্ষক মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।
ড. মোহাম্মদ আবদুল মোমেন বলেন, আমরা যারা দুর্নীতির বিরুদ্ধে মিষ্টি কথা কিংবা কড়া কথা বলি, তাদের প্রথমে সেই কথাগুলো বলার অধিকার অর্জন করতে হবে। আমার প্রতিষ্ঠান দুর্নীতি দমন কমিশন, করাপশন পারসেপশন ইনডেক্স নিয়ে আলাপ করলে আমরা যে খুব ভালো অবস্থানে আছি সেটা মনে করার কোনো কারণ নেই। আমার বিশ্বাস, আমরা যদি একটু একটু করে চেষ্টা করি পরিবর্তনটা আমরাই আনতে পারি।
তিনি আরও বলেন, আমাদের প্রাতিষ্ঠানিক অবক্ষয় এমন একটি পর্যায়ে পৌঁছেছে এবং এমনভাবে এগুলো করতে দিয়েছি যে শেষ পর্যন্ত সামাল দেওয়া কঠিন হয়েছে। ১৯৭১ সালে দেশ স্বাধীনের পরে হঠাৎ একটা বাহিনীর আবির্ভাব ঘটেছিল। এবারও আপনাদের সামনে আর একটি সংকট হচ্ছে ভুয়া সমন্বয়ক। এটাও সকলকে সামাল দিতে হচ্ছে। আমার অফিসেও এভাবে ভুয়া সমন্বয়ক পেয়েছি। সমন্বয়ক ভুয়া আর প্রকৃত হোক না কেন তাকে অবৈধভাবে সুযোগ দেওয়ার কোনো কারণ নেই। এটা যদি এখনই প্রতিরোধ করা শুরু করেন তাহলে অনেক সংকট থেকে মুক্ত থাকবেন।
এসময় দুদক চেয়ারম্যান আরও বলেন, আমরা অনেক সময় বলে থাকি প্রশাসনের রাজনৈতিকীকরণ। আসলে আমরাই রাজনীতিবিদদের কাছে যাই, গিয়ে বলি ‘স্যার আমরা আপনার সেবা দাস’। আমরা যদি একটা স্ট্যান্ড নিতে পারি, তাহলেই আমরা পরিবর্তন আনতে পারি। এই পরিবর্তন আমাদের এবং আপনাদের পক্ষে আনা সম্ভব। আমার মনে হচ্ছে আমরা একটা সুবর্ণ সুযোগ পাচ্ছি।
এই সভায় মাঠ প্রশাসনের বিভিন্ন অফিসের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা অংশ নেন। এর আগে দুদক চেয়ারম্যান বরিশালে দুর্নীতি দমন কমিশনের ২৩ কোটি টাকায় নবনির্মিত ভবনের উদ্বোধন করেন।
প্রতিনিধি/এফএ