images

সারাদেশ

১৮৫ বছরের সংরক্ষিত বনমহিষের শিং জাদুঘরে হস্তান্তর

জেলা প্রতিনিধি

৩১ জুলাই ২০২৫, ০৪:৫৪ পিএম

প্রায় ১৮৫ বছরের সংরক্ষিত একটি বনমহিষের শিংসহ মাথার করোটি নওগাঁ পাহাড়পুর (সোমপুর) বৌদ্ধ বিহার জাদুঘরে হস্তান্তর করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) দুপুরে নওগাঁ শহরের কালিতলা মহল্লার অধ্যাপক (অব:) ফজলুল হক নওগাঁর পাহাড়পুর জাদুঘরের কাস্টোডিয়ান ফজলুল করিমের কাছে এটি হস্তান্তর করেন।

অধ্যাপক (অব:) ফজলুল হক জানান, নওগাঁর দুবলহাটীর রাজা রায় বাহাদুর হরনাথ রায় চৌধুরী সিলেটে জমিদারি ক্রয় করার পর - তিনি তার বিস্তৃত জমিদারি পরিদর্শন করার জন্য সিলেট যান। সেখানে তিনি অন্যান্য প্রাণীর সঙ্গে একটি বনমহিষ শিকার করেন। 

সিলেটে কিছু দিন থাকার পর তিনি দুবলহাটী রাজপ্রাসাদে ফিরে আসার সময় শিকার করা বিভিন্ন প্রাণীর মাথার করোটি সঙ্গে নিয়ে আসেন। সঙ্গে নিয়ে আসেন এই বনমহিষটির মাথার করোটিও। পরবর্তীতে ১৮৯১ সালে তিনি প্রয়াত হলে তার স্থলে তার ছেলে রাজা কৃঙ্করীনাথ রায় চৌধুরী জমিদারি প্রাপ্ত হন। 

দুবলহাটীর শিকারপুরের শৈলকোপা গ্রামের জোতদার সাকিম উদ্দীন শেখের সঙ্গে রাজা কৃঙ্করীনাথ রায় চৌধুরীর ঘনিষ্ঠতা ছিল। সেই ঘনিষ্ঠতার সুবাদে রাজা কৃঙ্করীনাথ রায় চৌধুরী ১৯৩৫ সালের দিকে এই বনমহিষটির মাথার করোটি তার ঘনিষ্ঠতম বাল্যবন্ধু সাকিম উদ্দীন শেখকে উপহার স্বরূপ দিয়েছিলেন। সাকিম উদ্দীন শেখের মৃত্যুর পর তার ছেলে আব্দুল গনি শেখ মহিষের মাথাটি সংরক্ষণ করছিলেন। আব্দুল গনি শেখের মৃত্যুর পর তার ছেলে অধ্যাপক ফজলুল হক মাথাটি তার সংগ্রহে রেখেছিলেন।

পাহাড়পুর বৌদ্ধবিহার জাদুঘরের কাস্টোডিয়ান ফজলুল করিম আরজু বলেন, এই মহিষের করোটিটি আমাদের জন্য একটি প্রাপ্তি। এটি জাদুঘরে সংরক্ষণ করা হবে। দর্শনার্থীরা এটি দেখে অতীত ইতিহাস জানবে। 

এ ধরনের কোনো বস্তু, পুরাকীর্তি নিদর্শন কারো কাছে থাকলে - সেগুলো পাহাড়পুর জাদুঘরে হস্তান্তর করার আহ্বান জানান তিনি।

প্রতিনিধি/ এমইউ