images

সারাদেশ

বগুড়ায় যুবদল নেতাকে কুপিয়ে জখম

জেলা প্রতিনিধি

৩১ জুলাই ২০২৫, ১১:১৬ এএম

বগুড়া সদর উপজেলা যুবদলের আহবায়ক অতুল চন্দ্র দাসকে(৫০) কুপিয়ে গুরুতর আহত করেছে মুখোশধারী দুর্বৃত্তরা। 

বুধবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে সদর উপজেলার সাবগ্রাম হাটে এ হামলার ঘটনা ঘটে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় অতুলকে শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাতেই  ঢাকায় স্থানান্তর করা হয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রাত সাড়ে ১১টার দিকে শহরের নবাববাড়ি সড়কে বিএনপির দলীয় কার্যালয় থেকে মোটরসাইকেলে নিজ বাড়ি সাবগ্রামে ফিরছিলেন অতুল। পথিমধ্যে সাবগ্রাম হাটে একটি দোকান থেকে ওষুধ কিনছিলেন তিনি। এ সময় চারটি মোটরসাইকেলে করে অন্তত আটজন মুখোশধারী দুর্বৃত্ত অতুলের ওপর ধারালো অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। তারা এলোপাতাড়ি কুপিয়ে অতুলকে রক্তাক্ত করে ফেলে যায়।

হামলার সময় স্থানীয়রা এগিয়ে এলে দুর্বৃত্তরা আগ্নেয়াস্ত্র বের করে কয়েক রাউন্ড গুলি ছুড়ে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা আহত অতুলকে উদ্ধার করে প্রথমে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। 

স্থানীয় সূত্রে জানাগেছে, ২০২০ সালের ২৫ অক্টোবর রাতে সাবগ্রাম সাবগ্রাম সার্বজনীন দুর্গা মন্দিরে দুর্গাপুজা দেখতে আসা সম্রাট দাস(২৬) এক যুবককে কুপিয়ে খুন করা হয়। সম্রাট সাবগ্রাম বন্দর স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন। তিনি  কয়েকটি হত্যা মামলার আসামী ছিলেন। সম্রাটের বড় ভাই জুয়েল দাস পুলিশের তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী এবং ভাড়াটে খুনী হিসেবে পরিচিতি।  একই এলাকায় বসবাস অতুল চন্দ্র দাস এবং জুয়েল দাসের। এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে জুয়েল ও অতুলের মধ্যে বিরোধ দীর্ঘ দিনের। সম্রাট খুন হওয়ার পর থেকে এই বিরোধ চরমে ওঠে।

বগুড়া জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক আবু হাসান বলেন, ‘অতুলকে হত্যার উদ্দেশ্যেই পরিকল্পিতভাবে হামলা চালানো হয়েছে। ধারালো অস্ত্র দিয়ে তার মাথায় আঘাত করা হয়েছে। হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তার না করলে কঠোর আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।’

বগুড়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাসান বশির বলেন, ‘দুর্বৃত্তরা সবাই মুখোশ পরা ছিল। তাদের শনাক্ত করার চেষ্টা চলছে। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।’

প্রতিনিধি/একেবি