images

সারাদেশ

নিয়ম ভেঙে মেঘনা নদীতে চলছে ঝুঁকিপূর্ণ যাত্রী পরিবহন

জেলা প্রতিনিধি

৩০ জুলাই ২০২৫, ০১:১৩ পিএম

নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলার চেয়ারম্যান ঘাটে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে অতিরিক্ত যাত্রী ও মালামাল বোঝাই করে মেঘনা নদী পারাপার করা হচ্ছে। প্রতিটি ট্রলারে ধারণক্ষমতার চেয়ে তিন-চার গুণ বেশি যাত্রী নিয়ে সিগন্যাল চলাকালীন নদী পারাপার অব্যাহত রয়েছে। স্থানীয় ইজারাদাররা অতিরিক্ত টোল আদায়ের লোভে এ ধরনের ঝুঁকিপূর্ণ পারাপার চালিয়ে যাচ্ছেন।

গতকাল মঙ্গলবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, হাতিয়া চেয়ারম্যান ঘাট থেকে সিগন্যাল উপেক্ষা করে মালামালসহ অতিরিক্ত যাত্রী নিয়ে মেঘনা নদী পারাপার করছে ট্রলারগুলো। যেকোনো মুহূর্তে বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা করছেন যাত্রীরা। নতুন ইজারাদার অনিয়ন্ত্রিতভাবে পারাপার পরিচালনা করায় পরিস্থিতি দিন দিন আরও ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠছে।

স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রতিটি ট্রলারের ধারণক্ষমতা ৫০-৮০ জন হলেও ঘাটের ইজারাদাররা দেড়শ থেকে দুই শতাধিক যাত্রী তুলছেন। সেই সঙ্গে নেওয়া হচ্ছে বিপুল পরিমাণ নিত্যপ্রয়োজনীয় মালামাল, যা ট্রলারের ভারসাম্য নষ্ট করছে।

এক যাত্রী বলেন, ‘বর্তমানে বর্ষা মৌসুমে মেঘনা নদী এমনিতেই উত্তাল থাকে। এর মধ্যে বৈরী আবহাওয়ায় প্রায়ই সিগন্যাল জারি করা হয়। কিন্তু সব নিয়ম ভেঙে ইজারাদাররা সিগন্যালের মধ্যেও ট্রলার চালানো বন্ধ রাখছেন না। এতে নারী ও শিশুসহ শত শত যাত্রী চরম ঝুঁকির মুখে পড়ছে।’

স্থানীয়রা জানান, মাঝনদীতে ট্রলার বিকল হওয়া বা ঢেউয়ের ধাক্কায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ডুবে যাওয়ার আশঙ্কা থাকলেও কর্তৃপক্ষ কার্যকর কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না। গত কয়েক বছরে ছোটখাটো অনেক দুর্ঘটনা ঘটলেও বড় ধরনের প্রাণহানি না ঘটায় প্রশাসনের টনক নড়েনি।

স্থানীয় প্রশাসনের নীরব ভূমিকা নিয়েও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন অনেকে। তাদের দাবি, দ্রুত কঠোর ব্যবস্থা না নিলে যেকোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। সাধারণ মানুষ অবিলম্বে বেপরোয়া যাত্রী পারাপার বন্ধ করে নিরাপদ যাতায়াতের ব্যবস্থা নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছেন।

হাতিয়া ঘাট ইজারাদারের প্রতিনিধি মতিন মিয়ার সঙ্গে কথা বললে তিনি বলেন, ‘আমরা যাত্রীদের সুবিধার্থে উপজেলা অফিসার, নৌবাহিনী ও কোস্টগার্ডের সঙ্গে পরামর্শ করেই ট্রলার ছাড়ছি।’

t

এ বিষয়ে হাতিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আলাউদ্দিন বলেন, ‘সিগন্যাল চলাকালীন অতিরিক্ত যাত্রী নিয়ে ট্রলার চলাচলের বিষয়ে আমরা কিছুদিন আগে অভিযান চালিয়ে জরিমানা করেছি। আপনারা যেহেতু বিষয়টি জানিয়েছেন, আমরা আবারও বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেব।’

প্রতিনিধি/একেবি