জেলা প্রতিনিধি
২৩ জুন ২০২২, ০৪:০২ পিএম
শিক্ষার্থীদের ভাবনায় পদ্মা সেতু কেমন! তাই শরীয়তপুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের পশ্চিম পাশের সীমানা প্রাচীরে ও শরীয়তপুর-ঢাকা মহাসড়কের পাশে উন্মুক্ত দেয়ালে লাগানো হয়েছে শিক্ষার্থীদের আঁকা পদ্মা সেতুর ছবি ও পদ্মা সেতু নিয়ে কবিতা। ২৫ জুন পদ্মা সেতু উদ্বোধন হবে। তাই সদর উপজেলার একুশটি বিদ্যালয়ের ৪১ জন শিক্ষার্থীর আঁকা সেতুর ছবি ও পদ্মা সেতু নিয়ে ৩১টি কবিতা দেয়ালে লাগানো হয়। আর এর নাম রাখা হয়েছে 'পদ্মা সেতু দেয়ালে, খেয়ালে'। এমন উদ্যোগ নিয়েছে শরীয়তপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মনদীপ ঘরাই।
বৃহস্পতিবার (২৩ জুন) সকাল সাড়ে ১০টায় দেয়াল লিখন ও ছবি প্রদর্শনী 'পদ্মা সেতু দেয়ালে, খেয়ালে' উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক মো. পারভেজ হাসান।
এর আগে, ২২ জুন শরীয়তপুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনের দেয়াল পরিচ্ছন্ন করে দেয়ালে নতুন সাদা রং করা হয়। পরে আজ সকালে দেয়ালে লাগানো হয় ছবি ও কবিতা।
সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, দেয়াল লিখন ও ছবি প্রদর্শনীতে শরীয়তপুর সদর উপজেলার প্রত্যেকটি বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করে। এর মধ্যে পদ্মা সেতুর ৪২টি পিলার লক্ষ্য করে ৪২ শিক্ষার্থীর পদ্মা সেতু নিয়ে শিক্ষার্থীদের ভাবনার লেখা তুলে ধরা হয় এবং পদ্মা সেতুতে বসানো হয়েছে ৪১টি স্প্যান সেটা লক্ষ্য করে পদ্মা সেতুর ছবি তুলে ৪১ জন শিক্ষার্থীর হাতে আঁকা পদ্মা সেতুর ছবি লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে দেয়ালে। শিক্ষার্থীদের ভাবনা ও পদ্মা সেতুর ছবি প্রদর্শনের জন্য সকল শ্রেণি-পেশার মানুষের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়েছে। প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত উন্মুক্ত থাকবে। ২৩ থেকে ২৫ জুন তিন দিনব্যাপী দেয়াল লিখন ও ছবি প্রদর্শন চলবে। পদ্মা সেতু উদ্বোধনের পরে শিক্ষার্থীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হবে।
শরীফুল ইসলাম মুন্না, আব্দুল্লাহ আনসারীসহ শিক্ষার্থীরা বলেন, পদ্মা সেতু আমাদের গৌরবের প্রতীক। পদ্মা সেতু কেমন, আমাদের কি সুবিধা দেবে সেটা ফুটিয়ে তোলার জন্য এই কবিতা ও ছবিগুলো একেছি।
শরীয়তপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) মনদীপ ঘরাই বলেন, যেই বাচ্চাদের কৈশোরের সাথে পদ্মা সেতু বেড়ে উঠলো তাদের ভাবনায় পদ্মা সেতু কেমন সেটা ফুটিয়ে তোলার জন্য এই কবিতা ও ছবিগুলো। পদ্মা সেতু যে সমৃদ্ধির স্বপ্ন দেখায় সেটা যেন প্রতিটি হৃদয়ে ছড়িয়ে যায়। এমন উদ্যোগ নিতে জেলা প্রশাসক স্যারও উৎসাহ দিয়েছেন, সহায়তা করেছেন।
শরীয়তপুরের জেলা প্রশাসক মো. পারভেজ হাসান বলেন, ২৫ জুন পদ্মাসেতু উদ্বোধন হতে যাচ্ছে। উদ্বোধন করছেন তিনি যিনি পদ্মা সেতুর স্বপ্নদ্রোষ্টা ও রূপকার। যার অপার দেশপ্রেম এবং সাহসিকতার কারনে প্রমত্তা পদ্মার বুকে পদ্মা সেতু দৃশ্যমান দেখতে পাই। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এই অবদানকে শরীয়তপুরবাসী কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরণ করে বরন করে এবং লালন করে। এরই প্রেক্ষিতে আজকে আমরা এখানে 'পদ্মা সেতু দেয়াল, খেয়ালে' এই নামে আমরা পদ্মা সেতুকে নিয়ে আমাদের শিশু শিক্ষার্থীদের নিয়ে এই আয়োজন। যারা মূলত আগামী দিনে পদ্মা সেতু সুবিধাভোগী।
তিনি বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী উন্নত বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখায় সেই স্বপ্নে এদের হাত ধরে পৌঁছে যাবে। পদ্মা সেতুকে নিয়ে আমাদের প্রযন্ম কি ভাবছে, কিভাবে পদ্মা সেতু তাদের জীবন মান উন্নয়নে ও এই জনপথের আর্থ সামাজিক উন্নয়নে কাজে আসবে। সেই বিষয়গুলো ওরা যাতে লিখতে পারে, বলতে পারে এজন্য 'আমরা পদ্মা সেতু দেয়াল খেয়ালে' দেয়াল পত্রিকার মতো করা হয়েছে। শিক্ষার্থীরা তাদের মনের খুশিতে পদ্মা সেতু নিয়ে ছবি একেছে ওদের কবিতা লিখেছে। পদ্মা সেতু নিয়ে তাদের ভালোবাসা ভাবনা এবং আগামী দিনের কল্পনাকে তুলে ধরেছে। শরীয়তপুরে এটি একটি নতুন মাত্রা যোগ করেছে। কারন আগামী প্রজন্ম ও তরুণদেরকে এই ভাবনায় সম্পৃক্ত করতে পেরেছি। ওদের চোখেই আমরা আগামী দিনের সমৃদ্ধির ও উন্নত বাংলাদেশকে দেখতে পাই।
এজে