images

সারাদেশ

নাটোরে চাঁদাবাজির ঘটনার প্রতিবাদে জামায়াতের সংবাদ সম্মেলন

জেলা প্রতিনিধি

২৯ জুলাই ২০২৫, ০৯:৩৫ পিএম

নাটোরের বড়াইগ্রামে চাঁদাবাজির ঘটনার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর জেলার নেতারা। এ ঘটনায় মামলায় অভিযুক্ত চার আসামিকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।

মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) বিকেলে চাঁদাবাজির প্রতিবাদে জেলা জামায়াতের পক্ষ থেকে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

লিখিত বক্তব্যে জেলা আমির অধ্যাপক ড. মীর নূরুল ইসলাম প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন, চাঁদাবাজি নয়, পৈত্রিক সম্পত্তি পুনরুদ্ধারের বিষয়। ওয়ার্ড জামায়াতের সভাপতি রুহুল আমিনের বাবা মজিবর ওয়ারিশ সূত্রে ওই জমির মালিক। প্রাপ্ত ৩৩ শতাংশ জমির মধ্যে ২২ শতাংশ বিক্রি করেন। বাকি ১১ শতাংশের মধ্যে রোডস অ্যান্ড হাইওয়ে ৪ শতাংশ একোয়ার করে নিয়েছে। বাকি ৭ শতাংশ তাদের মালিকানায় রয়েছে। যা ওয়ারিশ সূত্রে প্রাপ্ত। কিন্তু ৭ শতাংশ জমি আহম্মদপুর নওপাড়া গ্রামের জোয়াড়ী ইউনিয়ন যুব দলের সাংগঠনিক সম্পাদক দুলাল, জাহাঙ্গীর, শাহ আলম মোতালেব দীর্ঘদিন দখল করে রাখে। ওই জমি উদ্ধারের জন্য বড়াইগ্রাম থানায় এসআই আমিনুলের নেতৃত্বে সালিশি বৈঠক হয়। বিষয়টি মীমাংসার জন্য জোয়াড়ী ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জুলহাস উদ্দিনের নেতৃত্বে ৪ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়।

তিনি আরও বলেন, জামায়াত কর্মী রুহুল আমিনের বড় ভাই বিএনপি নেতা হায়দার আলী জায়গায় থাকা দোকানগুলোতে তালা লাগিয়ে দেয়। এখানে কোনো চাঁদাবাজির ঘটনা ঘটেনি। এটা নিতান্তই পৈত্রিক সম্পত্তি পুনরুদ্ধার সংক্রান্ত বিষয় এবং নিতান্তই তাদের পারিবারিক বিষয়। অসত্য, বিভ্রান্তমূলক এ ধরনের সংবাদ ভবিষ্যতে প্রচার না করতে অনুরোধ জানান জামায়াতের এ নেতা।

আরও পড়ুন

চাঁদাবাজির মামলায় আ. লীগ-বিএনপির ৮ নেতাকর্মী কারাগারে

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন- বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী নাটোর জেলার নায়েবে আমির অধ্যক্ষ দেলোয়ার হোসাইন খান, সেক্রেটারি অধ্যাপক মো. সাদেকুর রহমান, অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি মাওলানা আব্দুল হাকিম, অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি ও জেলা প্রচার এবং মিডিয়া সম্পাদক আতিকুল ইসলাম রাসেল, নাটোর শহর শাখার আমির মাওলানা রাশেদুল ইসলামসহ নেতারা।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে. নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলার আহম্মদপুর এলাকার মুজিবুর রহমানের সঙ্গে নওপাড়া গ্রামের জাহাঙ্গীর আলম, কোরবান আলী, শাহ আলম ও মোতালেব হোসেনের জমি নিয়ে দ্বন্দ্ব¦ চলছিল। বিষয়টি সমাধানে স্থানীয়ভাবে একাধিকবার সালিশও হয়েছে। সোমবার এ বিষয়ে সালিশ বৈঠক হওয়ার কথা থাকলেও শেষ পর্যন্ত তা আর হয়নি। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে মুজিবুরের ছেলেরা বিরোধপূর্ণ জমিতে থাকা ১০টি দোকানে তালা ঝুলিয়ে দেন। পরে স্থানীয় সেনাক্যাম্প ও থানায় অভিযোগ করলে পুলিশ ও সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে গিয়ে দোকানগুলোর তালা ভেঙে মালিকদের কাছে জিম্মায় দেয়। ৪ অভিযুক্ত আসামি উপজেলার জোয়াড়ী ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ড জামায়াতের সভাপতি ও আহম্মদপুর এলাকার বাসিন্দা রুহুল আমিন (৪৫), তার ভাই জামায়াত কর্মী আজিমুদ্দিন (৪০), বিএনপি কর্মী হায়দার আলী (৪৮), তার বাবা মৃত আলী মিয়ার ছেলে মুজিবর রহমানকে (৭০) আটক করে থানায় নেওয়া হয়। তাদের গ্রেফতার দেখিয়ে আজ মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) আদালতের মাধ্যমে চারজনকে কারাগারে পাঠানো হয়।

বড়াইগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম সারোয়ার হোসেন বলেন, এ ঘটনায় গতকাল চাঁদাবাজির মামলায় ৪জনকে সেনা সদস্যরা গ্রেফতার করে থানায় হস্তান্তর করেছেন। গ্রেফতার দেখিয়ে আজ মঙ্গলবার তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানোর হয়।

প্রতিনিধি/এসএস