জেলা প্রতিনিধি
২৯ জুলাই ২০২৫, ০৭:৫৩ পিএম
গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলায় সিজু মিয়া নামে এক যুবক থানার সামনের পুকুরে ডুবে মৃত্যুর ঘটনায় তিন সদস্যদের একটি দল তদন্তের জন্য মাঠে নেমেছে।
মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) দুপুরে সাঘাটা থানা এলাকায় ঘটনাস্থল পরিদর্শন সময় তদন্ত কমিটির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রংপুর রেঞ্জের অ্যাডিশনাল ডিআইজি মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসেন।
তিনি সকাল সাড়ে ১০টা থেকে দুপুর ৩টা পর্যন্ত পরিদর্শনকালে গণমাধ্যম কর্মীদের জানান, ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও প্রকৃত ঘটনা উদঘাটনের জন্য ইতোমধ্যে তিন সদস্যবিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। আগামী পাঁচ কর্মদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়া হবে।
এসময় তিনি আরও বলেন, ঘটনাটি অত্যন্ত স্পর্শকাতর। নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে সত্য উদঘাটন ও যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণই আমাদের লক্ষ্য। সিজু নিহত হওয়ার পর স্থানীয়ভাবে ব্যাপক উত্তেজনা বিরাজ করছে। প্রশাসন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তৎপর রেখেছেন৷
সার্বিক পরিস্থিতিতে ঘটনাটি তদন্তে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি সভাপতি হিসেবে আছেন রংপুর রেঞ্জের অ্যাডিশনাল ডিআইজি মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসেন। এছাড়া সদস্য হিসেবে রেঞ্জটির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রুনা লায়লা ও শরিফুল ইসলাম তদন্তে কাজ করছেন।
পরিদর্শন সময়ে উপস্থিত ছিলেন- গাইবান্ধার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বিদ্রোহ কুমার (এ-সার্কেল)৷
উল্লেখ্য, পুলিশের ভাষ্য অনুযায়ী, গত বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) রাত পৌনে ১০টার দিকে গাইবান্ধার সাঘাটা থানায় ঢুকে পুলিশের সহকারী উপপরিদর্শক মহসিন আলীকে ছুরিকাঘাত করে পুকুরে ঝাঁপ দেয় সিজু মিয়া। পরদিন শুক্রবার (২৫ জুলাই) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে সাঘাটা পাইলট উচ্চবিদ্যালয়ের পুকুরের কচুরিপানার মধ্য থেকে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা অজ্ঞাতনামা হিসেবে ওই ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করে।
এদিকে স্থানীয়রা বলছেন, ওই ঘটনার পর শনিবার (২৬ জুলাই) পুকুরে সিজুকে পুলিশ কর্তৃক পিটিয়ে হত্যার একটি ভিডিও ভাইরাল হলে এলাকায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়৷ এদিন গাইবান্ধা পুলিশ সুপারের কার্যালয় ঘেরাও করে এলাকাবাসী৷ পরের দিন রোববার (২৭ জুলাই) সাঘাটা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ের সামনে মানববন্ধন করে সচেতন নাগরিক ও স্থানীয়রা৷
প্রতিনিধি/এসএস