জেলা প্রতিনিধি
২৬ জুলাই ২০২৫, ০৬:১৯ পিএম
বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপের ফলে বরগুনায় অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে জোয়ারের পানি। জেলার পায়রা, বিষখালী ও বলেশ্বর নদীর শনিবার বিপৎসীমার ৩৪ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে তলিয়ে গেছে নিম্নাঞ্চলের বসতবাড়ি ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান।
এদিকে ফেরির গ্যাংওয়ে তলিয়ে অন্তত ২ ঘণ্টা বন্ধ ছিল জেলার আমতলী-পুরাকাটা ও বড়ইতলা-বাইন চটকি ফেরি চলাচল। রাত-দিনের টানা বর্ষণে ভোগান্তি বেড়েছে জনজীবনে।
বরগুনা পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, শনিবার জোয়ারের পানি ২ দশমিক ৩১ সেন্টিমিটার উচ্চতায় প্রবাহিত হয়েছে। যা বিপদসীমার ৩৪ সেন্টিমিটার ওপরে। অন্যদিকে শুক্রবার সকাল ৯টা থেকে শনিবার সকাল ৯টা পর্যন্ত ৩৩ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
জোয়ারের পানিবৃদ্ধি পাওয়ায় প্লাবিত হয়েছে সদর উপজেলার বড়ইতলা ফেরিঘাট, পোটকাখালী ও কুমড়াখালী আবাসন প্রকল্প, জেলা শহরের কলেজ রোড, পশু হাসপাতাল সড়ক, চরকলোনি, মাঝের চর, তালতলী উপজেলার নিদ্রা, সকিনা, শুভ সন্ধ্যা সমুদ্রসৈকতসহ একাধিক এলাকা। এতে চরম ভোগান্তিতে পরতে হয়েছে নিম্নাঞ্চলের মানুষের। জোয়ারের পানিতে জেলার বড়ইতলা-বাইনচটকি ফেরির গ্যাংওয়ে কোমর সমান পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় ফেরি চলাচল বন্ধ থাকে বেলা সাড়ে ১১টা থেকে দেড়টা পর্যন্ত।
তবে বরগুনা বেড়িবাঁধের বেশকিছু জায়গা ঝুঁকিপূর্ণ থাকলেও কোথাও কোনো ধরনের দুর্ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।
প্রতিনিধি/একেবি