images

সারাদেশ

গাজীপুরের কোনাবাড়িতে সেই হৃদয়ের লাশ উদ্ধারে ডুবুরি দল

জেলা প্রতিনিধি

২৪ জুলাই ২০২৫, ০১:১০ পিএম

৫ আগস্টের গণঅভ্যুত্থানের সময় গাজীপুরের কোনাবাড়ী এলাকা থেকে নিখোঁজ হওয়া কলেজছাত্র হৃদয়ের লাশ উদ্ধারে অভিযান চালাচ্ছে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল। 

বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) দুপুর ১২টা থেকে এই উদ্ধার অভিযান শুরু হয়। এতে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের কর্মকর্তাসহ পুলিশ সদস্যরা উপস্থিত রয়েছেন।

নিহত কলেজছাত্র হৃদয় (২০) টাঙ্গাইলের গোপালপুর উপজেলার আলমগর গ্রামের লাল মিয়ার ছেলে। তিনি হেমনগর ডিগ্রি কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্র ছিলেন। লেখাপড়ার পাশাপাশি তিনি কোনাবাড়ী এলাকায় অটোরিকশা চালাতেন।

সরকার পতনের একদফা আন্দোলনের সময় গাজীপুরের কোনাবাড়ী থানার পাশে পুলিশের গুলিতে হৃদয়ের মৃত্যু ঘটে।

ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের উপস্থিতিতে গাজীপুর ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল এবং পুলিশ সদস্যরা উদ্ধার অভিযানের প্রস্তুতি নেন।

ঘটনাস্থলে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পরিদর্শক মাসুদ পারভেজ উপস্থিত থেকে উদ্ধার কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করছেন।

গাজীপুর ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের উপপরিচালক মোহাম্মদ মামুন বলেন, ‘ডুবুরি দল প্রস্তুত রয়েছে। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে আমাদের ডুবুরি কড্ডার তুরাগ নদীতে নেমে উদ্ধার কাজ শুরু করেছে।’

এর আগে, এ ঘটনায় পুলিশের কনস্টেবল মো. আকরাম হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি গাজীপুর শিল্প পুলিশের সদস্য ছিলেন।

পুলিশ জানায়, ৫ আগস্ট হৃদয় কোনাবাড়ী সড়কে সরকারের বিরুদ্ধে স্লোগান দিচ্ছিলেন। এ সময় পুলিশের উপস্থিতি দেখে তিনি রাস্তার পাশে অবস্থান নেন। সেখানে দায়িত্বে থাকা শিল্প পুলিশের কয়েকজন সদস্য হৃদয়কে ধরে চড়-থাপ্পড় মারেন। একপর্যায়ে পুলিশ গুলি চালালে ঘটনাস্থলেই হৃদয়ের মৃত্যু হয়।

এই ঘটনায় হৃদয়ের ফুফাতো ভাই মো. ইব্রাহীম বাদী হয়ে কোনাবাড়ী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় সাবেক মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আজমত উল্লাহ এবং সাবেক সিটি মেয়র ও গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলমকে হুকুমদাতা আসামি করা হয়। এছাড়াও অজ্ঞাতনামা ২৫০–৩০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।

প্রতিনিধি/একেবি