images

সারাদেশ

ঠাকুরগাঁওয়ে মির্জা ফখরুলের ভাইয়ের ওপর হামলাকারী আটক

জেলা প্রতিনিধি

২০ জুলাই ২০২৫, ০৭:২২ এএম

ঠাকুরগাঁও: ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার সর্বমঙ্গলা গ্রামে ডাকাতির চেষ্টাকালে মো. লালচান (৩০) নামে এক ব্যক্তিকে দেশীয় অস্ত্রসহ আটক করেছে পুলিশ। ধৃত লালচান বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের ছোট ভাই ও ঠাকুরগাঁও জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মির্জা ফয়সাল আমিনের ওপর হামলার ঘটনার সঙ্গেও জড়িত বলে অভিযোগ উঠেছে।

শনিবার (১৯ জুলাই) রাত পৌনে ১০ টার দিয়ে বিষয়টি ঢাকা মেইলকে নিশ্চিত করেন বালিয়াডাঙ্গী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শওকত আলী সরকার।

তিনি জানান, রাত ৩টার দিকে মো. রনি হোসেন (২৪) নামে এক যুবক খালাতো বোনের বিয়ের অনুষ্ঠান শেষে মোটরসাইকেলে করে রূপগঞ্জ গ্রামে যাওয়ার পথে সর্বমঙ্গলা জামে মসজিদের সামনে পৌঁছালে ২–৩ জন দুষ্কৃতকারী দেশীয় অস্ত্র নিয়ে তার গতিরোধ করে। তারা রনির মোটরসাইকেল, মোবাইল ও টাকা ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করলে ধস্তাধস্তির একপর্যায়ে তার চিৎকারে মসজিদের মোয়াজ্জেম ও স্থানীয়রা ছুটে আসেন এবং লালচানকে একটি দেশীয় রামদাওসহ আটক করেন। তবে তার সঙ্গে থাকা অন্য সহযোগীরা পালিয়ে যায়।

পরে স্থানীয়রা ৯৯৯-এ ফোন করলে পুলিশ তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনাস্থলে গিয়ে রামদাও সহ  লালচানকে সহ আটক করে। এবিষয়ে ভুক্তভোগী পরিবার থানার একটি অভিযোগ দায়ের করেন। দুপুরে লালচানকে বিজ্ঞ আদালত পাঠানো হয়। 

জানতে চাইলে তিনি আরও জানান, লালচান বিএনপি নেতা মির্জা ফয়সাল আমিনের ওপরে হামলা চালিয়েছে এমনটি দাবি করছেন দলের নেতারা। তারা বলেছেন বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা বিএনপির সম্মেলনের দিন লালচান মির্জা ফয়সাল আমিনের উপর হামলার চালিয়েছে এমন ভিডিও ফুটেজ নাকি তাদের কাছে আছে। তবে এবিষয়ে তারা থানার এখন পর্যন্ত কোনো অভিযোগ দেননি। অভিযোগ দিলে ও ভিডিও ফুটেজ দেখে ব্যবহা গ্রহণ করা হবে। 

অন্যদিকে শনিবার বিকেলে তাকে ঠাকুরগাঁওয়ের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মাহাবুবুর আলমের আদালতে লালচানকে হাজির করা হলে আদালত তার জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

ঠাকুরগাঁও জেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক মো. পয়গাম আলী সাংবাদিকদের জানান, “লালচানের বিরুদ্ধে আগেও নানা অপরাধে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে। আমরা জেনেছি, গত ১২ জুলাই বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা বিএনপির কাউন্সিলে জেলা সাধারণ সম্পাদক মির্জা ফয়সাল আমিনের ওপর হামলার নেতৃত্বও দিয়েছিল লালচান। সে মাহাবুব আলমের নির্দেশে এ হামলা করে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে।”

তিনি আরও বলেন, লালচান ও তার সহযোগীরা আমাদের দলের কেউ না। তারা কোনো কমিটিতেও নেই। তারা শুধু ভাইদের সঙ্গে থেকে নিজেদের ক্যাডার হিসেবে চালায়। এদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দিচ্ছেন মাহাবুব আলম।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নে তিনি বলেন, আমরা এখনো আনুষ্ঠানিক অভিযোগ করিনি। বিষয়টি কেন্দ্রকে জানিয়েছি। কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

উল্লেখ্য, গত ১২ জুলাই বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার সমিরউদ্দীন স্মৃতি মহাবিদ্যালয়ে উপজেলা বিএনপির কাউন্সিলে ফলাফল ঘোষণাকে কেন্দ্র করে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মির্জা ফয়সাল আমিনের ওপর হামলা চালানো হয়। এ সময় তার গাড়িও ভাঙচুর করা হয়।