জেলা প্রতিনিধি
১৭ জুলাই ২০২৫, ০৮:৪০ পিএম
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক নার্গিস বেগম বলেছেন, অনৈক্যের ফল আমরা গোপালগঞ্জে দেখেছি। স্বৈরাচার পালিয়ে গেলেও তাদের দোসররা এখনো লুকিয়ে আছে। তারা ঐক্য বিনষ্টের ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে। তাই আসুন, আমরা নির্বাচনের পথে এসে একত্রিত হয়ে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার লড়াই করি।
বৃহস্পতিবার যশোর জেলা যুবদলের আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সারাদেশে আইনশৃঙ্খলার অবনতির প্রতিবাদে ও অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নির্লিপ্ততার বিরুদ্ধে এই বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। জজকোর্ট মোড়ে অনুষ্ঠিত সমাবেশে অধ্যাপক নার্গিস বেগম আরও বলেন, “নিরস্ত্র জনতাকে সঙ্গে নিয়ে যেভাবে শেখ হাসিনাকে উৎখাত করেছি, আগামী দিনেও তেমনি সকল চক্রান্ত ও ষড়যন্ত্রের জাল ছিন্ন করে একটি সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠা করব ইনশাআল্লাহ। সেই লক্ষ্যে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।”
সমাবেশে প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক (খুলনা বিভাগ) অনিন্দ্য ইসলাম অমিত। তিনি বলেন, ‘ফ্যাসিবাদের দোসররা আজ সমাজের সর্বস্তরে ছড়িয়ে পড়েছে। আপনি আমি যদি এখনই সতর্ক না হই, তবে এই কালনাগিনী সুযোগ পেলেই আবার ছোবল দেবে। তাই বাংলাদেশের জনগণকে সঙ্গে নিয়ে সম্মিলিত প্রচেষ্টায় ভোটের অধিকার নিশ্চিত করতে হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘যুবকরা যদি মনে করেন আমরা গন্তব্যে পৌঁছে গেছি, তাহলে ভুল করবেন। যুদ্ধ এখনো চলমান। এই যুদ্ধের একটি ধাপে শেখ হাসিনাকে সরানো সম্ভব হয়েছে, কিন্তু হারানো গণতন্ত্র এখনো ফেরত আসেনি। তাই নতুন করে শপথ নিতে হবে— যতদিন না গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার হচ্ছে, ততদিন পর্যন্ত সংগ্রাম চালিয়ে যেতে হবে। শুধু রাজপথে নয়, সমাজের প্রতিটি স্তরে এই লড়াই ছড়িয়ে দিতে হবে। দেশের জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করতে হবে।’
সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন জেলা যুবদলের আহ্বায়ক এম তমাল আহমেদ।
বক্তব্য রাখেন জেলা যুবদলের সদস্য সচিব আনসারুল হক রানা, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আশরাফুল কবির সুমন, যুগ্ম আহ্বায়ক নাজমুল হোসেন বাবুল, অধ্যাপক আমিনুর রহমান মধু, ইমদাদুল হক ইমদা, নগর যুবদলের আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম, সদস্য সচিব শেখ রবিউল ইসলাম, সদর উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক তানভীর রায়হান তুহিন, আবুল কালাম আজাদ প্রমুখ।

বিক্ষোভ সমাবেশটি পরিচালনা করেন জেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক কবির হোসেন বাবু।
প্রতিনিধি/একেবি