images

সারাদেশ

বগুড়ায় দাদি-নাতবউকে গলাকেটে হত্যা, প্রধান অভিযুক্ত গ্রেফতার

জেলা প্রতিনিধি

১৭ জুলাই ২০২৫, ০৪:২৮ পিএম

প্রেমের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় বগুড়ায় দাদি-নাতবউকে গলাকেটে হত্যা করে পালিয়ে যাওয়া প্রধান অভিযুক্ত সৈকত হাসানকে গ্রেফতার করেছে জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। 

বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) ভোরে শহরের খান্দার এলাকায় পাসপোর্ট অফিসের পাশে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতার সৈকত হাসান বগুড়া শহরের ইসলামপুর হরিগাড়ী এলাকার সোহেল ইসলামের ছেলে।

বগুড়া জেলা ডিবির ইনচার্জ ইকবাল বাহার বিষয়টি নিশ্চিত করেন। 

তিনি বলেন, গ্রেফতার এড়াতে সৈকত নানা কৌশলে আত্মগোপনে ছিল। গ্রেফতারের পর তাকে সঙ্গে নিয়ে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত অস্ত্র উদ্ধারে অভিযান চলছে।’

এর আগে বুধবার (১৬ জুলাই) রাত সাড়ে ৮টার দিকে বগুড়া পৌরসভার ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের ইসলামপুর হরিগাড়ী এলাকায় নৃশংস এই হত্যাকাণ্ড ঘটে। নিহতরা হলেন — স্থানীয় মৃত আব্দুল কুদ্দুস বুলুর স্ত্রী লাইলী বেওয়া (৮০) এবং পারভেজ ইসলামের স্ত্রী হাবিবা ইয়াসমিন (২১)। সম্পর্কে তারা দাদি-শাশুড়ি ও নাতবউ। একই ঘটনায় আহত হন এসএসসি পাস করা বুলবুলের মেয়ে বন্যা (১৬)।

নিহতদের স্বজনরা জানান, সৈকত দীর্ঘ দিন ধরে বন্যাকে উত্ত্যক্ত করত এবং বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছিল। পরিবার তা প্রত্যাখ্যান করে প্রতিবাদ জানালে সৈকত ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। বুধবার রাতে সৈকত ও তার সঙ্গে থাকা আরও ৭-৮ জন দুর্বৃত্ত ঘরে ঢুকে প্রথমে হাবিবাকে, পরে লাইলী বেওয়াকে গলাকেটে হত্যা করে। বন্যা বাধা দিতে গেলে তাকে পেটে ছুরিকাঘাত করা হয়। তার চিৎকারে স্থানীয়রা ছুটে এসে আহতদের উদ্ধার করে শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে চিকিৎসক লাইলী বেওয়া ও হাবিবাকে মৃত ঘোষণা করেন।

বগুড়া সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোস্তফা মঞ্জুর জানান, ‘ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে। ইতিমধ্যে প্রধান অভিযুক্ত সৈকতকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আহত বন্যা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে।’

 প্রতিনিধি/ এমইউ