জেলা প্রতিনিধি
১৬ জুলাই ২০২৫, ০২:৪৬ পিএম
চুয়াডাঙ্গায় চাঞ্চল্যকর পৃথক দুটি হত্যা মামলায় তিন আসামিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। পাশাপাশি প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ডও করা হয়েছে।
বুধবার (১৬ জুলাই) দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ মো. আকবর আলী শেখ আসামিদের উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন। দুটি হত্যাকাণ্ডই ঘটেছিল জমিজমা ও পারিবারিক বিরোধকে কেন্দ্র করে।
২০২২ সালের ৯ মে রাতে আলমডাঙ্গার হারদী ইউনিয়নের বামানগর গ্রামে জমি সংক্রান্ত পুরনো বিরোধের জেরে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে পিটিয়ে হত্যা করা হয় কামাল হোসেনকে। তার স্ত্রী সেলিনা আক্তার ১১ মে থানায় মামলা করেন।
তদন্ত শেষে আলমডাঙ্গা থানার পরিদর্শক (নিরস্ত্র) ইকরামুল হোসাইন পাঁচজনকে অভিযুক্ত করে ২০২২ সালের ৩১ জুলাই আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। মামলার দুই আসামি আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন—স্বাধীন আলী (৩৭) – আলমডাঙ্গার বামানগর গ্রামের কাশেম আলীর ছেলে; আশিকুর রহমান ওরফে বাদশা (২৭) – চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার ফার্মপাড়ার মৃত বিপ্লব হোসেনের ছেলে।
১৭ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আদালত তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় উভয়কে মৃত্যুদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড দেন। মামলার অপর পাঁচ আসামিকে খালাস দেওয়া হয়।
অন্যদিকে, ২০২২ সালের ১৬ জুন দুপুরে জীবননগরের গঙ্গাদাশপুর গ্রামে পূর্ব শত্রুতার জেরে কোদাল দিয়ে মাথায় আঘাত করে হত্যা করা হয় বাবলু রহমানকে। নিহতের স্ত্রী চায়না খাতুন বাদী হয়ে ওইদিনই হত্যা মামলা দায়ের করেন।
তদন্ত শেষে জীবননগর থানার উপপরিদর্শক সৈকত পাড়ে ২০২২ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। মামলার একমাত্র অভিযুক্ত ছিলেন জমির উদ্দিন (৪৮), মৃত ইব্রাহিম মণ্ডলের ছেলে।
১৪ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আদালত তাকে দোষী সাব্যস্ত করে মৃত্যুদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেন।
চুয়াডাঙ্গা জেলা জজ কোর্টের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট মারুফ সারোয়ার বাবু বলেন, ‘এই রায়ে রাষ্ট্রপক্ষ সন্তুষ্ট। চাঞ্চল্যকর দুটি হত্যা মামলায় তিনজনের মৃত্যুদণ্ডাদেশ সমাজে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে।’
প্রতিনিধি/একেবি