images

সারাদেশ

তুচ্ছ ঘটনায় কলেজছাত্রকে ক্ষুরাঘাতের জেরে দুপক্ষের সংঘর্ষ, আটক ১৮

জেলা প্রতিনিধি

১৬ জুলাই ২০২৫, ০৭:৪৮ এএম

শেরপুরের নালিতাবাড়ীর হাজী নুরুল হক নন্নী-পোড়াগাঁও মৈত্রী কলেজে তুচ্ছ বিষয় নিয়ে একাদশ শ্রেণির এক ছাত্রকে ক্ষুরাঘাতের জেরে দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এসময় পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে দুটি মোটরসাইকেল।

মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) দুপুরে উপজেলার নন্নী উত্তরবন্দ এলাকাস্থ কলেজ চত্বরে এ ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনায় ১৮ জনকে আটক করেছে পুলিশ।

শেরপুরের সহকারী পুলিশ সুপার (নালিতাবাড়ী সার্কেল) আফসান আল আলম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার সকালে হাজী নুরুল হক নন্নী-পোড়াগাঁও মৈত্রী কলেজে একাদশ শ্রেণির পরীক্ষা চলাকালে নন্নী উত্তরবন্দ গ্রামের ফরহাদ নামে এক পরীক্ষার্থীকে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে নালিতাবাড়ীর খালভাঙ্গা এলাকার একই শ্রেণির অপর পরীক্ষার্থী আমিনুল ইসলাম আকাশ ধাক্কা দেয়। এতে ফরহাদ বেঞ্চে ধাক্কা খেয়ে আঘাত পেলে ফরহাদের বন্ধু শাকিল এর প্রতিবাদ জানায়। পরবর্তীতে পরীক্ষার্থী আকাশ কলেজ ছাত্রদলের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান মুক্তারকে খবর দিলে মুক্তারসহ কয়েকজন ওই কলেজে যায়। ওইসময় বহিরাগতরা শাকিলকে মারধর ও এক পর্যায়ে শাকিলের পিঠে ক্ষুর দিয়ে ধারালো আঘাত করলে সে গুরুতর আহত হয়। পরে স্থানীয়রা খবর পেয়ে কলেজ ছাত্রদল সভাপতিসহ বহিরাগত অন্যদের ওপর হামলা চালালে তারা কলেজের অফিস কক্ষে আশ্রয় নেয়। ওই সময় বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী ছাত্রনেতাদের দুটি মোটরসাইকেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। এতে পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। ছাত্রনেতারা কয়েক ঘণ্টা অবরুদ্ধ থাকার পর স্থানীয় নেতৃবৃন্দ এবং শেরপুরের সহকারী পুলিশ সুপার (নালিতাবাড়ী সার্কেল) আফসান আল আলম ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। ওই ঘটনায় কলেজের ৪ শিক্ষার্থী ও বহিরাগতসহ মোট ১৮ জনকে আটক করে পুলিশ।

ঘটনার বিষয়ে নন্নী ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য ও বিএনপি নেতা মো. আব্দুল্লাহ জানান, স্থানীয় এক পরীক্ষার্থীকে পরীক্ষা চলাকালীন শহরের অপর পরীক্ষার্থী লাথি মারার প্রতিবাদ করায় হট্টোগোল শুরু হয়। এসময় আরেক পরীক্ষার্থীকেও মারধর করা হয়। একপর্যায়ে শহর থেকে বহিরাগতদের ডেকে এনে রক্ষাক্ত জখম করা হয় স্থানীয় শিক্ষার্থী শাকিলকে। তিনি অভিযোগ করে বলেন, ছাত্র শিবির ও পতিত আওয়ামী লীগ সরকারের কতিপয় বহিরাগত ব্যক্তিরা কলেজে এসে এ মারধরের ঘটনা ঘটিয়েছে।

শেরপুরের সহকারী পুলিশ সুপার (নালিতাবাড়ী সার্কেল) আফসান আল আলম জানান, সংঘর্ষকালে লাঠিসোটা ও দেশীয় অস্ত্রের মুখে কয়েক ঘণ্টা অবরুদ্ধ হয়ে পড়েন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। পরে স্থানীয় নেতৃবৃন্দ ও পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। ওই ঘটনায় কলেজের ছাত্র ও বহিরাগতসহ মোট ১৮ জনকে আটক করেছে পুলিশ। ক্ষুরাঘাতে আহত শিক্ষার্থী শাকিলকে শেরপুর জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সংঘর্ষের ঘটনায় কেউ অভিযোগ করলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

প্রতিনিধি/টিবি