images

সারাদেশ / শিক্ষা

বাকৃবির ভেটেরিনারি অনুষদের ৩৩ শিক্ষার্থীকে বৃত্তি প্রদান

জেলা প্রতিনিধি

১৪ জুলাই ২০২৫, ০৭:৩৪ পিএম

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) ভেটেরিনারি অনুষদের উদ্যোগে অসচ্ছল শিক্ষার্থীদের জন্য বৃত্তি প্রদান অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়েছে। জুলাই-ডিসেম্বর/২০২৪ সেমিস্টারে অনুষদের ৩৩ জন অসচ্ছল শিক্ষার্থীকে এককালীন সাড়ে ৭ হাজার টাকা করে বৃত্তি প্রদান করা হয়।

সোমবার (১৪ জুলাই) দুপুর ১২টা ১৫ মিনিটে ভেটেরিনারি অনুষদীয় মেডিসিন কনফারেন্স কক্ষে এ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ভেটেরিনারি অনুষদের ডিন ও দরিদ্র শিক্ষার্থী বৃত্তি ফান্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মো. বাহানুর রহমান। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ড. এ কে ফজলুল হক ভূঁইয়া। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষক সমিতির সভাপতি ও মাৎস্যবিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. রফিকুল ইসলাম সরদার এবং ছাত্র বিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মো. শহীদুল হক। এ ছাড়া অনুষদের বিভিন্ন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ও শিক্ষকগণও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন মাইক্রোবায়োলজি অ্যান্ড হাইজিন বিভাগের অধ্যাপক ড. মাহবুবুল প্রতীক সিদ্দিক। স্বাগত বক্তব্য দেন বৃত্তি ফান্ড কমিটির সদস্য অধ্যাপক ড. ফরিদা ইয়াসমিন বারি।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে ভিসি অধ্যাপক ড. এ কে ফজলুল হক ভূঁইয়া বলেন, ‘এই উদ্যোগ নিঃসন্দেহে মহৎ এবং অত্যন্ত প্রশংসনীয়। আমার প্রত্যাশা থাকবে, অন্যান্য অনুষদগুলোও ভেটেরিনারি অনুষদের এই উদ্যোগ থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে এমন পদক্ষেপ গ্রহণ করবে। আমাদের ছাত্র বিষয়ক বিভাগও দরিদ্র ও অসচ্ছল শিক্ষার্থীদের সহায়তা করে আসছে। তবে আমি মনে করি, যেসব শিক্ষার্থী প্রতি সেমিস্টারে প্রথম স্থান অর্জন করে, তাদেরও সম্মানিত করার উদ্যোগ নেওয়া উচিত। এতে তারা তাদের মেধার যথাযথ স্বীকৃতি পাবে এবং পড়াশোনায় আরও উৎসাহিত হবে।’

সভাপতির বক্তব্যে অধ্যাপক ড. মো. বাহানুর রহমান বলেন, ‘জুলাই-ডিসেম্বর/২০২৪ সেমিস্টারে ৩৩ জন শিক্ষার্থীকে এককালীন সাড়ে সাত হাজার টাকা করে বৃত্তি প্রদান করা হয়েছে। পাশাপাশি ‘ডিনস অ্যাওয়ার্ড’ চালুর প্রক্রিয়াও চলমান রয়েছে। বৃত্তি প্রদানের প্রধান শর্ত হলো—কোনো বিষয়ে ফেল করা যাবে না। বৃত্তিপ্রাপ্ত সকল শিক্ষার্থীই এই শর্ত যথাযথভাবে অনুসরণ করেছে এবং পড়াশোনায় ভালো করছে।’

dd

তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের এই উদ্যোগের মূল উদ্দেশ্য হলো—কোনো শিক্ষার্থী যেন কেবল অর্থসংকটের কারণে পড়াশোনায় পিছিয়ে না পড়ে।’

প্রতিনিধি/একেবি