জেলা প্রতিনিধি
১৩ জুলাই ২০২৫, ০৩:৩৬ পিএম
গাজীপুরের টঙ্গীর আব্দুল্লাহপুরে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র মাহফুজকে ছুরিকাঘাতে হত্যায় জড়িত ছিনতাই চক্রের চার জনসহ ৫ জনকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১। গতকাল টঙ্গীর বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয় বলে জানিয়েছেন র্যাব-১ এর সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার সালমান নূর আলম।
গ্রেফতার ব্যক্তিরা হলেন, ছিনতাই চক্রের সদস্য রাফসান জানি রাহাত (২৮), মো. রাশেদুল ইসলাম (২০), কাওছার আহম্মেদ পলাশ (২৩) ও রাকিব ইসলাম (২৬) ও মোটরসাইকেল চালক রাহাত।
র্যাব কর্মকর্তা বলেন, গত বৃহস্পতিবার হাতেম আলী কলেজের ছাত্র মাহফুজুর রহমান ছিনতাইকারীদের ছুরিকাঘাতে নির্মম হত্যাকাণ্ডের শিকার হন। এ ব্যাপারে থানায় মামলা দায়ের করা হলে র্যাবের ছায়া তদন্ত শুরু হয়। এক পর্যায়ে ভিকটিমের অ্যান্ড্রয়েড সেটটি হত্যাকাণ্ডের প্রায় ২ ঘণ্টা পর শনাক্ত করা যায়। ঘটনার সূত্র ধরে র্যাব-১ এর সদস্যরা মোবাইলের গ্রাহককে দ্রুত সময়ে শনাক্ত করে নজরবন্দীতে আনেন। মোবাইলের গ্রাহককে জিজ্ঞাসাবাদ করার পর তিনি জানান, ভিকটিমের সেটটি টঙ্গীর মাজার বস্তির এক চোরাই মোবাইল ব্যবসায়ীর কাছ থেকে কেনা হয়েছে। পরে তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে মোবাইল বিক্রেতা রাকিবকে গ্রেফতার করা হয়। পরে রাকিবের দেয়া তথ্যে গতকাল টঙ্গীর বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে ছিনতাই চক্রের সদস্য রাফসান জানি রাহাত , মো. রাশেদুল ইসলাম ও কাওছার আহম্মেদ পলাশকে টঙ্গীর বিভিন্ন স্থান থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে।প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা ছাত্র মাহফুজকে গুরুতর জখমের জন্য একে অপরকে দোষারোপ করেন এবং তাদের সাথে জড়িত অন্যান্য ছিনতাইকারীর সন্ধান দেন। একই সাথে ছিনতাইয়ের সময় ব্যবহৃত মোটরসাইকেল চালক রাহাতের সন্ধান দেন। পরে চালক রাহাতকেও একইদিনে গ্রেফতার করা হয়।
![]()
র্যাব কর্মকর্তা সালমান নূর আলম আরও বলেন, গ্রেফতার ব্যক্তিরা জিজ্ঞাসাবাদে জানান, তারা পেশাদার ছিনতাইকারী এবং একই দিনে তারা রাজধানীর হাউজ বিল্ডিং এবং কুর্মিটোলা এলাকায় আরও দু'টি মোবাইল ছিনতাই করেন। ছিনতাই করার সময় তারা সংঘবদ্ধভাবে কাজ করেন। একটি চক্রের মধ্যে পলাশ মূলত বিভিন্ন ভিকটিমের ব্যক্তিগত মোবাইল মানিব্যাগ ও অন্যান্য মূল্যবান সামগ্রী সংগ্রহ করেন। অন্যদিকে সাগর ধারালো অস্ত্র দ্বারা ভিকটিমকে ভয় দেখান এবং ভিকটিম তাদের কথা না শুনলে শরীরের আঘাত করার মাধ্যমে তার কাছ থেকে অর্থ আদায়ের চেষ্টা করেন। দু'টি স্থানে তাদের সাথে ভিকটিমের হাতাহাতি হয়, যার কারণে সে দ্রুত তার ধারালো অস্ত্রটি ব্যবহার করেন। ছিনতাই করার পরে তারা ৩টি মোবাইল ঘটনার প্রায় ২ ঘণ্টা পর গ্রেফতার রাকিবের কাছে হস্তান্তর করেন।
প্রতিনিধি/এসএস