জেলা প্রতিনিধি
১১ জুলাই ২০২৫, ১১:৫১ এএম
বরগুনার আমতলী উপজেলার চাওড়া ইউনিয়নে বিএনপির কাউন্সিল প্রস্তুতি সভা শেষে পদ-পদবি নিয়ে বিরোধের জেরে দু’গ্রুপের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।
বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) বিকেলে তালুকদার বাজার এলাকায় ঘটে যাওয়া এ সংঘর্ষে অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে ১১ জনকে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে, বাকিরা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।

জানা গেছে, আগামী ১৭ জুলাই চাওড়া ইউনিয়ন বিএনপির কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। এ উপলক্ষে তালুকদার বাজার এলাকার একটি মাদরাসায় প্রস্তুতি সভার আয়োজন করা হয়। সভায় ইউনিয়নের ৭, ৮ ও ৯ নম্বর ওয়ার্ডের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিল।
সভার এক পর্যায়ে ৮ নম্বর ওয়ার্ড কমিটির সভাপতি পদ নিয়ে সালাম মল্লিক ও হাসান বয়াতির মধ্যে তীব্র বিরোধ সৃষ্টি হয়। সভা শেষ হলেও উত্তেজনা বাড়ে, যখন হাসান বয়াতির ভাইয়ের ছেলে সোহাগ বয়াতিকে সালাম মল্লিকের ছেলে শাহীন মল্লিক মারধর করে। বিষয়টি জানাজানি হলে সোহাগের বাবা ইদ্রিস বয়াতি প্রতিবাদ জানাতে গেলে প্রথম দফা সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়।
পরে আহতদের হাসপাতালে নেওয়ার পথে তালুকদার বাজার চৌরাস্তার মোড়েও আবারও দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ১৫ জন আহত হন।
আহতদের মধ্যে রয়েছেন, ইদ্রিস বয়াতি (৪০), সাগর (১৫), আল মামুন (২৬), সোহাগ বয়াতি (২১), ইমরান মাতুব্বর (১৮), হিরণ মৃধা (২৩), হাসান বয়াতি (৩২), শাহীন মল্লিক (২৫), সালাম মল্লিক (৫২), নুর আলম মল্লিক (২১) ও আসিফ মল্লিক (২২)।
বিএনপির সভাপতি পদপ্রার্থী হাসান বয়াতি অভিযোগ করে বলেন, সালাম মল্লিক দীর্ঘ ১৬ বছর আওয়ামী লীগে ছিলেন। এখন বিএনপিতে এসে পদ চাইছেন। আমার ভাইয়ের ছেলে এর প্রতিবাদ করায় তাকে মারধর করা হয়।
অন্যদিকে সালাম মল্লিক বলেন, আমার বিরুদ্ধে উসকানিমূলক কথা বলায় কথা-কাটাকাটি হয়, পরে তা সংঘর্ষে রূপ নেয়। আমাদের পক্ষেরও অন্তত ৫ জন আহত হয়েছে।
চাওড়া ইউনিয়ন বিএনপির আহ্বায়ক রেজাউল করিম পান্না বলেন, পদ-পদবি নিয়ে বিরোধের জেরে এই সংঘর্ষ হয়। এতে অনেক নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।
আমতলী উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব তুহিন মৃধা বলেন, ঘটনার খবর পেয়েছি। দলের শৃঙ্খলা রক্ষায় জড়িতদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আহতদের চিকিৎসা দেওয়া চিকিৎসক ডা. লুনা বিনতে হক জানান, প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে ১১ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।
এ বিষয়ে আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আরিফুল ইসলাম আরিফ বলেন, এখনও কেউ লিখিত অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
প্রতিনিধি/এসএস