জেলা প্রতিনিধি
০৯ জুলাই ২০২৫, ০৮:৩৯ পিএম
২০১৪ সালের এপ্রিলে সংঘটিত নারায়ণগঞ্জের আলোচিত সাত খুনের মামলা দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান।
তিনি আরও জানিয়েছেন, ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থানের মামলাগুলো দ্রুত নিস্পত্তির জন্য প্রায়োরিটি বেসিসে তদন্ত সম্পন্ন করা এবং বিচার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার কাজ চলছে। সেই প্রায়োরিটি ইতোমধ্যে নির্ধারিত হয়েছে। আমরা সেভাবেই এগিয়ে যাচ্ছি।’
বুধবার (৯ জুলাই) বিকেলে নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির ভবনে সমিতির কার্যনির্বাহী কমিটি এবং জেলার সকল সরকারি কৌসুলী ও পাবলিক প্রসিকিউটরদের সঙ্গে মতবিনিময় সভার আগে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে এসব কথা বলেন অ্যাটর্নি জেনারেল।
নিহতের পরিবার মামলার বাদী না হওয়া এবং মিথ্যা মামলার হয়রানি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘এ বিষয়ে আমরা যথাযথভাবে তদন্ত করছি। আমরা জাতিকে আশ্বস্ত করছি, ভিকটিমের পরিবার যাতে ন্যায়বিচার পায় এবং কেউ যাতে মিথ্যা মামলায় ভুক্তভোগী না হয়, এ জন্য আইন মন্ত্রণালয় থেকে ফৌজদারি কার্যবিধিতে একটি সংশোধনী প্রস্তাবনা করা হয়েছে। যাতে অন্তর্র্বতীকালীন অবস্থায় একটি ফাইনাল রিপোর্ট দেওয়া যায়।’
আরও পড়ুন: নারায়ণগঞ্জের আলোচিত ৭ খুন: বিচারের অপেক্ষায় স্বজনদের এক দশক পার
নারায়ণগঞ্জের আলোচিত ত্বকী হত্যা মামলা সম্পর্কে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, ‘মামলাটি অত্যন্ত সেনসেটিভ। এই মামলার স্থবিরতা কোন স্টেজে রয়েছে, সেটি জেনে দ্রুত নিস্পত্তির উদ্যোগ নেওয়া হবে। আপনারা দেখেছেন সেনসিটিভ মামলার মধ্যে আবরার ফাহাদ মামলা টপ প্রায়োরিটি দিয়ে করেছি। মেজর সিনহা হত্যা মামলা টপ প্রায়োরিটি দিয়ে করেছি। ত্বকী হত্যা মামলাটিও এ ধরনের জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ মামলা। আমরা চিন্তা করব কীভাবে এটিকে দ্রুত ত্বরান্তিত করা যায়।’
উপজেলা পর্যায়ে আদালত স্থানান্তর সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘প্রস্তাবনা এসেছে। এটি এখনো বিচার বিবেচনাধীন রয়েছে। এটা পরে বলা যাবে কতটা ফলপ্রসু হবে। এটি এখনো প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে।’
হাইকোর্টের বেঞ্চ সম্পর্কে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, ‘এটিও প্রস্তাবনায় রয়েছে। সংশ্লিষ্ট মহলে বিবেচনায় নিয়ে এর সাংবিধানিক ব্যাখ্যা কী আছে, সেগুলো বিবেচনা করে তারপর পদক্ষেপ নেওয়া হবে। বিগত সরকারের আমলে নির্মিত নারায়ণগঞ্জ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ভবনটির বিষয়েও আলোচনার মাধ্যমে যৌক্তিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘সারাদেশের আইনজীবীদের চলমান প্রশিক্ষণ কর্মসূচি যাতে যথাযথভাবে হয়, সে কারণে কক্সবাজারে আইনজীবীদের ট্রেনিং ইনস্টিটিউট করার পরিকল্পনা করছি। আইনজীবীদের জন্যও আবাসন প্রকল্প করার জন্য সরকারের কাছে দাবি জানানো হয়েছে।’
নারায়ণগঞ্জ সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ মো. আবু শামীম আজাদের সভাপতিত্বে সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রবিউল ইসলাম, জেলা আদালতের পিপি অ্যাডভোকেট আবুল কালাম আজাদ জাকির, নারী ও শিশু আদালতের পিপি অ্যাডভোকেট খোরশেদ মোল্লা, জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট সরকার হুমায়ন কবির ও সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আনোয়ার প্রধানসহ অনেকে।
এএইচ